প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর, ২০২১ ২২:৩৮

বগুড়ায় ৪৬ এতিম শিশুর কাছে প্রতিদিন তিন বেলা খাবার পৌঁছে দিচ্ছে ‘চ্যারিটি ফোরাম ৮৮’

সঞ্জু রায় :
বগুড়ায় ৪৬ এতিম শিশুর কাছে প্রতিদিন তিন
বেলা খাবার পৌঁছে দিচ্ছে ‘চ্যারিটি ফোরাম ৮৮’

১৯৮৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সংগঠন ‘সারাবাংলা' ৮৮ এর উদ্যোগে মানবিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গঠিত ‘চ্যারিটি ফোরাম ৮৮’ বগুড়াসহ দেশের ১০টি জেলায় এতিম শিশুদের কাছে মাসব্যাপী খাবার পরিবেশন করছে। ‘সারাবাংলা ৮৮’ এর সহযোগি সংগঠন ‘সারা বগুড়া ৮৮’ প্যানেলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পাঠানো ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ এক শিল্পগোষ্ঠীর (নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক) আর্থিক সহায়তায় গত ১ নভেম্বর থেকে মহতী ওই কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং তা আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। ওই কর্মসূচীর আওতায় এতিম শিশুদের প্রতিদিন তিন বেলা করে খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। অন্য যে ৯টি জেলায় ওই কর্মসূচী চলছে সেগুলো হলোঃ জামালপুর, পঞ্চগড়, বরিশাল, চুয়াডাঙ্গা, রাজবাড়ি, চট্টগ্রাম, ঝিনাইদহ, চাঁদপুর ও কুমিল্লা। 
‘সারা বগুড়া ৮৮’ প্যানেলের  আহবায়ক হাসান মঞ্জুর দোদুল জানান, বগুড়ায় ওই কর্মসূচীটি বাস্তবায়নের জন্য তারা শহরের শিববাটিতে অবস্থিত মতিঝিল অন্ধ হাফেজিয়া মাদ্রাসা লিল্লাহ বোর্ডিং ও বহুমুখী এতিম খানাকে বেছে নিয়েছেন। ওই প্রতিষ্ঠানে বসবাসরত ৪৬ শিশুকে তিন বেলা খাদ্য পরিবেশন করা হচ্ছে। তিনি জানান, ‘সারা বগুড়া ৮৮’র সদস্যরা পালাক্রমে প্রতিদিন খাদ্য পরিবেশন কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করে থাকেন।
শুক্রবার দুপুরে শিববাটি মতিঝিল অন্ধ মাদ্রাসায় এক দোআ মহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং এতিম শিশুদের খাবার পরিবেশন কার্যক্রম তদারকি করেন ‘সারা বাংলা-৮৮’-এর অন্যতম সংগঠক মেহেদী মাসুদ বিপু, ‘সারা বগুড়া-৮৮’প্যানেলের আহবায়ক হাসানুল মঞ্জুর দোদুল, যুগ্ম আহবায়ক জান্নাতুল ফেরদৌস লুবনা, রোমানা নাজনিন রুলি, নাসিমা সুলতানা ছুটু, সাজেদুল ইসলাম এবং সদস্য মাহমুদুল হাসান, আনোয়ার হোসেন, সোহাগ, মুক্তা, রবু, কামরুল, শাহজাহান ফিরোজ বাবুসহ আরও অনেকে। 
‘সারা বগুড়া-৮৮’ প্যানেলের আহবায়ক হাসান মঞ্জুর দোদুল জানান, এতিম শিশুদের খাওয়ানোর জন্য তারা নিজেরা প্রতিদিন বাজার থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে মতিঝিল অন্ধ হাফেজিয়া মাদ্রাসা লিল্লাহ বোর্ডিং ও বহুমুখী এতিম খানায় দেন। এরপর তাদের সংগঠনর সদস্যদের উপস্থিতিতে শিশুদের খাওয়ানো হয়। তিনি জানান, ভবিষ্যতে এই কার্যক্রম দেশের অন্য জেলাগুলোতে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

 

উপরে