প্রকাশিত : ১৬ নভেম্বর, ২০২১ ১৫:৪৫

সিনহা হত্যা: এএসপি জামিলুলকে প্রদীপের আইনজীবীর জেরা

অনলাইন ডেস্ক
সিনহা হত্যা: এএসপি জামিলুলকে প্রদীপের আইনজীবীর জেরা

পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সপ্তম দফায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

সপ্তম দফার দ্বিতীয় দিনে দুজন সাক্ষীর হাজিরা দিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। এরা হলেন মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি জামিলুল হক ও দ্বিতীয় তদন্ত কর্মকর্তা এবং অভিযোগপত্র দাখিলকারী সিনিয়র এএসপি খায়রুল ইসলাম।

সপ্তম দফার প্রথম দিনের তালিকাভুক্ত অসমাপ্ত সাক্ষী সহকারী পুলিশ সুপার মো. জামিলুল হকের জেরার মধ্য দিয়ে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয় বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।

পিপি ফরিদ বলেন, মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। এছাড়া মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৬৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

এর আগে, সকাল সাড়ে ৯টায় ওসি প্রদীপসহ মামলার ১৫ আসামিকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে নিয়ে আসা হয়।

গত বছরের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে মেজর সিনহা নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা করে।

ওই বছরের ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন মেজর সিনহার বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।

আলোচিত এ মামলায় গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ওসি প্রদীপসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে পুলিশের ৯ সদস্য হলেন- বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেব নাথ।

অপর আসামিরা হলেন- আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও মো. আব্দুল্লাহ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশের করা মামলার সাক্ষী নুরুল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন। আসামিদের ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে ওসি প্রদীপ, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। এর আগে আসামিদের তিন দফায় ১২ থেকে ১৫ দিন রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।

২৭ জুন ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে মামলাটির বিচারের জন্য অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ২৩ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রথম দফায় টানা তিনদিনে মামলার বাদী ও সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস এবং প্রত্যক্ষদর্শী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছিল। এরপর সাত দফার প্রথম দিন পর্যন্ত ৬৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও আসামি পক্ষের আইনজীবীদের জেরা সম্পন্ন হয়।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে