প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর, ২০২১ ২১:২৫

বগুড়ায় আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক কমিটি বাতিল চেয়ে আদালতে মামলা

বিবাদীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ আদালতের
ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক কমিটি বাতিল চেয়ে আদালতে মামলা

বগুড়া জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক কমিটি বাতিল এবং অবৈধ এই কমিটির নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা চেয়ে জেলা বগুড়ার বিজ্ঞ ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেন সংগঠনটির বগুড়া জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব উদ্দিন লাল, যার নম্বর- ২১৩/২০২১। এদিকে মামলাটি বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়ে ইতিমধ্যেই বিবাদীদের ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছেন।

মামলায় বিবাদীরা হলেন আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সায়ীদুর রহমান, কার্যকরী সভাপতি সাইফুল ইসলাম মানিক, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর লস্কর, দপ্তর সম্পাদক এম.এইচ এনামুল হক রাজু এবং অবৈধ দাবীকৃত আহ্বায়ক কমিটির দুই নেতা যথাক্রমে বগুড়া গাবতলী উপজেলার রাসেল আহম্মেদ কনক এবং লতিফপুর বগুড়া সদরের কামরুজ্জামান মানিক।
গত ১৬ নভেম্বর ২০২১ ইং তারিখে আদালতে দায়ের হওয়া মামলার নথি এবং ১৭ নভেম্বর শুনানী শেষে আদালত সূত্রে জানা যায়,  বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক ২০১০ সালের  পহেলা মে বিধিসম্মত ভাবে বগুড়ায় ৬১ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়া হয়েছিল যেখানে মামলার বাদী সংগঠনটির বগুড়ায় প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সেদিন থেকে দীর্ঘ ১০বছর যাবত দক্ষতার সাথে দলীয় এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম করে আসছে। যার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গেরও কোনরুপ অনিয়মের অভিযোগ উঠেনি। কিন্তু কেন্দ্রীয় আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ কোনরুপ পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই বগুড়ায় একটি মহলের স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টায় মামলার ৩নং বিবাদীর নেতৃত্বে বিবাদীগন উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে গত ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর তারিখে গঠনতন্ত্র বিধি বহির্ভূত ভাবে কতিপয় জামাত-শিবির ও বিএনপি পন্থী লোক জনের সমন্বয়ে একটি অবৈধ আহ্বায়ক কমিটি সৃষ্টি করে। যাহা সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী। পরবর্তীতে উক্ত অবৈধ কমিটির বিরুদ্ধে বাদী মাহাতাব লালের বারংবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবং মিডিয়ায় নানা সংবাদ প্রকাশের পর সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও রাজশাহী বিভাগীয় টিম প্রধান আনোয়ারুল হক উক্ত বিষয়ে তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন যেখানে তিনিও উক্ত আহ্বায়ক কমিটি বাতিল এবং জেলায় দলীয় কার্যক্রম গতিশীল করতে পুনরায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি যেটি আছে তাদের মাধ্যমেই সবকিছু বাস্তবায়ন করার কথা বলেন।
এ প্রসঙ্গে মামলার বাদী জানান, বগুড়া জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বলবৎ থাকা সর্ত্ত্বেও কেন্দ্রীয় কমিটি সম্পূর্ণ অন্যায় ও গঠনতন্ত্র বহির্ভূত ভাবে অবৈধ আহবায়ক কমিটি সৃষ্টি করে। যে কমিটি বাতিলের লক্ষ্যে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে লিখিত সুপারিশও করেছেন সহ-সভাপতি এ্যাড. আমানউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক এম শাহরিয়ার ওপেলসহ নেতৃবৃন্দ। বারংবার অভিযোগ করা সর্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ন্যায়ের আশায় তিনি সর্বশেষ বিজ্ঞ আদালতের দ্বারস্ত হয়েছেন। এদিকে উক্ত প্রসঙ্গে বিবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাদীপক্ষের মামলার পরিচালনাকারী এ্যাডঃ সৈয়দ আসিফুর রহমান আসিফ এবং এ্যাডঃ ওমর ফারুক এ প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ আ'লীগের গঠনতন্ত্রের ২৫নং অনুচ্ছেদের (৭) উপবিধি মোতাবেক বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন। তাই গঠনতন্ত্র অনুসারে বগুড়া জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিদ্যমান থাকা সর্ত্ত্বেও বিবাদীগণ যোগসাজসের মাধ্যমে ও গঠনতন্ত্র বহির্ভূত ভাবে অবৈধ আহবায়ক কমিটি সৃষ্টি করে। যাহা আইনগত ভাবে বেআইনি, বিধি বহির্ভূত, অকার্য্যকর-অচল এবং অবৈধ কমিটি।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে