প্রকাশিত : ২৩ নভেম্বর, ২০২১ ২২:৩৯

বগুড়ায় তিন মার্কেটে দুধর্ষ ডাকাতির পর বিদেশী পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৫

ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় তিন মার্কেটে দুধর্ষ ডাকাতির পর
বিদেশী পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৫

বগুড়ার গাবতলীতে নৈশ প্রহরীদের হাত-পা বেঁধে তিন মার্কেটে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত দলের প্রধানসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১২ সদস্যরা। রোববার রাতে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকালে তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তলসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করে। সোমবার দুপুরের র‌্যাব-১২ বগুড়ার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- টাঙ্গাইল জেলার সামছুল উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩৫), একই জেলার ইসমাইল হোসেনের ছেলে আব্দুল হালিম মিয়া (২৮), ময়মনসিংহ জেলার মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে আলী হোসেন (৫৬), নাটোর জেলার কানু মুন্সির ছেলে সুমন মুন্সি (২০) এবং একই জেলার মৃত আব্দুল গনির ছেলে হুমায়ুন কবির (৩৫)। এদের মধ্যে দেলোয়ার হোসেন ডাকাত দলের প্রধান এবং বাকি সবাই সহযোগী হিসেবে কাজ করতো। 
র‌্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্প সুত্রে জানানো হয়, গত  ৬ নভেম্বর বগুড়ার গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা বাজারে তিনটি মার্কেট; যথাক্রমে মুন্সি সুপার মার্কেট, পুকুর পাড় মার্কেট ও মসজিদ মার্কেটে অস্ত্রের মুখে নৈশ প্রহরীদের হাত পা ও মুখ বেঁধে মার্কেট সমূহের তালা কেটে ৯টি দোকানে ডাকাতি করে। এসময় তারা স্বর্ণালঙ্কার, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী, কাপড়, মোবাইলসহ প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ও নগদ অর্থ লুট করে। ঘটনার পরেরদিন ৭ নভেম্বর দোকানের মালিকদের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনাস্থলে প্রাথমিক তদন্ত, সিসিটিভি ফুটেজ এবং নৈশ প্রহরীদের জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরেই সংঘবদ্ধ ডাকাত দলকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয় এবং আশুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে  ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ০১টি ম্যাগাজিনসহ পিস্তল, ০৪ রাউন্ড গুলি, ০১টি বোল্ট কাটার, ০২টি রামদা, ০৩টি শাবল, ০২টি ছুরি, ০১টি কাঁচি, ১০টি লাঠি, ০১টি হাতুড়ী ও ০১টি টর্চ লাইট ও ০১টি ট্রাক উদ্ধার করা হয়। এছাড়া লুণ্ঠিত স্বর্ণলংকার ও বিপুল পরিমান কাপড়ও উদ্ধার করে। কাছ থেকে দূর্গাহাটা বাজারে ডাকাতির সময় লুন্ঠিত মালামাল সমূহের মধ্য হতে ৩টি রুলির বালা, ৩টি নাকফুল, ১৫টি রুপার নূপুর, ০২টি পিতলের বেঙ্গল চুড়ি, ইমিটেশনের ০৩টি গলার হার, ০৪ টি গলার চেইন, ০৩ জোড়া কানের দুল, ০১টি বড় আংটি, ০১টি ছোট আংটি ও ০৩ জোড়া হাতের চুড়ি উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও কাপড়ের দোকান থেকে লুন্ঠনকৃত বিপুল পরিমাণ বস্ত্র সামগ্রী (৬২ পিস  থ্রী-পিস, ১৪১ পিস শাড়ী, ৮৫ পিস গেঞ্জি, ০৯ সেট প্যান্ট পিস, ০৫টি ধূতি কাপড়, ১০টি ট্রাউজার ও ১০টি ব্যাগ) উদ্ধার করা হয়। ডাকাতির আগে গ্রেপ্তারকৃত হালিম ও সুমন গত ২৬ এবং ২৭ অক্টোবর দুর্গাহাটা বাজারে গিয়ে ডাকাতির জন্য তথ্য সংগ্রহ করে। 
র‌্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানী কমান্ডার সোহরাব হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা ডাকাতি করে সাভার এর নবীনগরে প্রত্যাবর্তনকালে লুণ্ঠনকৃত মালামাল এর মধ্যে গার্মেন্টসের কাপড়ের আইটেম সমূহ একটি মার্কেটে বিক্রি করে। ডাকাতিকালে প্রাপ্ত টিভি, মোবাইল এবং অর্থ তারা নিজেরা ভাগাভাগি করে নেয়। এছাড়াও বেশকিছু স্বর্ণালঙ্কার তারা ঘটনার পরদিন অন্য ০২ টি মার্কেটের জুয়েলার্সের দোকানে বিক্রি করে বলে জানায়। গ্রেপ্তারকৃত ৫ জনই পেশায় ডাকাত। তাদের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ চুরি এবং মাদকের মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে