প্রকাশিত : ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ২১:১৪

বগুড়ায় হাসি ঠাট্টাতে গোপনাঙ্গে বন্ধুর লাথিতেই মারা যায় দিনমজুর শমসের

শমসের হত্যার রহস্য উন্মোচন, গ্রেফতার ১
ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় হাসি ঠাট্টাতে গোপনাঙ্গে বন্ধুর
লাথিতেই মারা যায় দিনমজুর শমসের

বগুড়ায় শমসের আলী (৫২) হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় জড়িত একমাত্র আসামি মোঃ মোস্তফা(৪০) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার ডালিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মোস্তফা ডিমলা উপজেলার বাইশপুকুর এলাকার সাহাবুল্ল্যাহর ছেলে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজ কার্যালয়ে পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন এসব তথ্য জানান। 

এর আগে গত  ২৯ জুন সন্ধ্যা ৬টার দিকে বগুড়া সদরের মম ইন পার্কের পিছনে করতোয়া নদীর কিনার থেকে হাত বাঁধা ও গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় শমসেরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শমসের ডিমলা উপজেলার ছাতুনামা এলাকার মৃত নহর উদ্দিনের ছেলে। 
পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃত মোস্তফা এবং শমসের অনেক দিন ধরে বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলায় ধানের জমিতে কাজ করতেন। গত জুন মাসে তারাসহ ৭-৮জন শ্রমিক বগুড়ায় এসে মাটিডালী ঠান্ডুর ছ-মিলে রাতে ঘুমাতো এবং দিনের বেলায় বিভিন্ন বাড়িতে কাজ করতো। গত ২৮ জুন মোস্তফা ও শমসের যথারীতি শাখারিয়া ইয়নিয়নের কবিরাজপাড়া গ্রামে যার যার কাজে বের হয়ে যায়। কাজ শেষে সন্ধ্যার দিকে তারা ছ-মিলের দিকে ফেরার পথে মম ইন পার্কের পিছনে করতোয়া নদীর ধারে তাদের দেখা হয়। এসময় তারা হাসি-ঠাট্টাসহ বিভিন্ন মজার আলাপ করতে থাকে। হাসি-ঠাট্টার এক পর্যায়ে মোস্তফা সজোরে ডান পা দিয়ে শমসেরের গোপনাঙ্গে লাথি মারে। আঘাতের ফলে শমসের মাটিতে পড়ে যায় এবং তার মৃত্যু হয়। 
পুলিশ সুপার আরো জানান, পরে মোস্তফা লাইননের রশি দিয়ে মৃত শমসেরের হাত বাঁধে এবং গলায় থাকা গামছা পেঁচিয়ে লাশ সেখানে ফেলে চলে আসে। পরেরদিন লোকজন শমসেরের লাশ স্থানীয় লোকজন দেখে পুলিশে খবর দিলে তা উদ্ধার করে পুলিশ সদস্যরা। পরে সদর থানায় মামলা হলেও পিবিআই উক্ত মামলার তদন্ত শুরু করে হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং মূল আসামিকে গ্রেফতার করে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে