বগুড়ার শাজাহানপুরে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিবেশ শান্ত করে। পরে কমিটি গঠন স্থগিত করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বীরগ্রাম স্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলার খরণা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে বিএনপির কমিটি গঠনের উদ্যেশ্যে বীরগ্রাম স্ট্যান্ডে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল হাকিমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য মোরশেদ মিল্টন। এছাড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক বজলুর রহমান নিলু, আহবায়ক কমিটির সদস্য আলী হায়দার তোতা, এনামুল হক শাহীন, আবু শাহীন সানি, আবুল বাশার, হারেজ উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন মাস্টার, ইব্রাহীম হোসেন সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের তৃণমূল নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শুরুর একপর্যায়ে পকেট কমিটি গঠন নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন বিএনপি নেতারা। এছাড়া সিনিয়র নেতাদের চেয়ারে বসা নিয়েও বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এসময় নেতা-কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও কিল ঘুষি শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মীদের শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে কমিটি গঠন স্থগিত করা হয়।

খরনা ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক আহ্বায়ক ফজলুল হক উজ্জ্বল বলেন, আমি দীর্ঘদিন ইউনিয়ন বিএনপির দ্বায়িত্ব পালন করেছি। আমার ইউনিয়নে ওয়ার্ড কমিটি গঠন কর্মসূচির বিষয়ে অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবগত না করে পকেট কমিটি করার চেষ্টা করা হয়। এসময় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে পড়েন তারা। একপর্যায়ে হাতাহাতি ও কিল ঘুষির ঘটনা ঘটে। 

উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল হাকিম জানান, অপ্রতিকর কোন ঘটনাই ঘটেনি। 

জেলা বিএনপির সদস্য মোরশেদ মিল্টন জানান, অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে তার দেরি হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সদস্য সংগ্রহের ফর্ম বিতরনের ব্যঘাত ঘটে। সংগত কারণেই কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া পকেট কমিটি গঠনের কোন সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি। 

শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, হট্টগোলের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে পরিবেশ শান্ত করা হয়েছে। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন