গোবিন্দগঞ্জে বালু দস্যুদের জব্দ বালুর প্রথম নিলাম সম্পন্ন উদ্যোগকে সাধুবাদ নাগরিক কমিটির
![গোবিন্দগঞ্জে বালু দস্যুদের জব্দ বালুর প্রথম নিলাম সম্পন্ন
উদ্যোগকে সাধুবাদ নাগরিক কমিটির](./assets/news_images/2021/12/22/AC-Land_2.jpg)
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বালু দস্যুদের দৌরাত্ব বন্ধে জব্দকৃত বালুর নিলাম সম্পন্ন করেছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদস্য সচিব মো. তরিকুল ইসলাম। এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে জরুরি ভিত্তিতে অন্যান্য পয়েন্টগুলোতে অভিযান চালানোর আহবান উপজেলার সচেতন মহল ও নাগরিক কমিটির।বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের বড়রঘুনাথপুর মৌজার কাটাখালী নদীর দক্ষিণ পাশের্ চণ্ডীপুর গ্রামে উত্তর, উত্তরপূর্ব ও পশ্চিম পাশের পাশাপাশি ৩টি ঢিবির ১ লাখ ১০ হাজার সিএফটি বালুর বিপরীতে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৩০০ টাকার সর্বোচ্চ দরে নিলাম সম্পন্ন হয়েছে। দরের সাথে ১৫ ভাগ ভ্যাট ও ৫ ভাগ আয়কর যুক্ত করে সমূহ অর্থ পরিশোধ করেছে বলে জানা গেছে। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভূমি কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ এ কে এম আব্দুর নূর, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, ফুলবাড়ী ইউনিয়নের তহশিলদার, গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই আনিছুর, এএসআই মাহবুব, ফুলবাড়ী ইউনিয়নের গ্রাম্যপুলিশ ও নিলামে অংশগ্রহণকারী এলাকাবাসী।
নিলাম সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ নভেম্বর মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে কাটাখালী নদী হতে ড্রেজার মেশিনে অবৈধভাবে ভিটি বালু উত্তোলন করায় তা জব্দ করা হয়। এসময় বালু উত্তোলনের দায়ে একজনকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদÐ দেয়া হয়। পরে পত্রিকায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আজ বুধবার সরজমিনে উন্মুক্ত নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। নিলাম বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী উপস্থিত দরদাতাদের মধ্যে চারজন যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিলামে অংশ নেয়। এদের মধ্যে এ কে এম আব্দুর নূর সর্বোচ্চ দর দাতা নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় দরদাতা শহীদুল মুন্সি ৪ লাখ ৯৬ হাজার ১০০; তৃতীয় দরদাতা আতাউর রহমান ৪ লাখ ৯৬ হাজার ও চতুর্থ দরদাতা এরশাদ দর হাকেন ৪ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ টাকা। উন্মুক্ত নিলামের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তরিকুল ইসলাম জানান, আমরা নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। উপজেলার কাটাখালী-করতোয়া-বাঙ্গালী নদীর প্রতিটি পয়েন্টে আমাদের অভিযান ও বালু জব্দ করে নিলাম কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এদিকে বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়ে গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটি আহবায়ক জানান, বালু দস্যুদের দৌরাত্ব বন্ধে এমন অভিযান জোড়দার করতে হবে। উপজেলার অবৈধ বালু উত্তোলনের স্বর্গরাজ্য চকরহিমাপুর, ধর্মপুর-কাজলা, মহিমাগঞ্জ বোচাদহ, কাইয়াগঞ্জ ও বোয়ালিয়ায় অভিযান চালিয়ে চিহ্নিত বালু দস্যুদের আইনের আওতায় আনা হোক। সেই সাথে অবৈধ বালু উত্তোলনের একাধিক মামলায় অভিযুক্ত শতাধিক আসামীদের চোর-পুলিশ খেলা বন্ধ করে অচিরেই তাদের গ্রেফতার করা হোক।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন