প্রকাশিত : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ২৩:০৩

গোবিন্দগঞ্জে ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
গোবিন্দগঞ্জে ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৪ নং কোচাশহর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ব্রজেন্দ্র নাথ রায়ের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। 
মঙ্গলবার ২৮ ডিসেম্বর কোচাশহর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে পরাজিত আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আবু সুফিয়ান মন্ডল ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী অনিয়ম ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ব্রজেন্দ্র নাথ রায়ের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব করে মো. জহুরুল হক জাহিদ ঘোড়া মার্কার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে  বিজয়ী করার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন। 
লিখিত বক্তব্যে ইউনিয়নের ২ নম্বর ধর্মপুর আলীগড় শিশু সদন ও এতিমখানা এবং ৪ নম্বর কোচাশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী অনিয়ম হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
তিনি ব,ে এই ২টি ভোট কেন্দ্র স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. জহুরুল হক (ঘোড়া) এর নিয়ন্ত্রাধীন এলাকা হওয়ায় আমার নৌকা মার্কার নির্বাচনী এজেন্টদের বের করে দেয়। স্থানীয় ক্ষমতা ও অর্থবলে এই ২টি কেন্দ্র দখল করে আমার এজেন্টদের বের করে দিয়ে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে ঘোড়া মার্কায় সিল প্রদান করে। সাধারণ জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁধা প্রদান করলে প্রায় আড়াই ঘন্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে। আবার ভোটগ্রহণ শুরু হলে ঘোড়া মার্কার কর্মী সমর্থকরা পুনরায় হামলা চালিয়ে প্রশাসনের গাড়ী ভাংচুর করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করে তারা আবার ভোটকেন্দ্র দুটি দখল করে ব্যাপক কারচুপি করে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে বারবার অবহিত করা হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ভোট গ্রহণ শেষে কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা না করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে তাদের মনগড়া ফলাফল ঘোষণা করে ঘোড়া মার্কার প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। 
তিনি আরও বলেন, কালো টাকার প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ভোটের আগের রাতে কোচাশহর ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রের সকল প্রিজাইডিং, সহ-প্রিজাইডিং ও পুলিং অফিসারদের নাম পরিবর্তন করে ঘোড়া মার্কার প্রভাবক ব্যক্তিদের দিয়ে ভোট গ্রহণ করেন। এমনকি ভোটের দায়িত্ব পালন না করলেও রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদেরকে সম্মানী প্রদান করেন। তিনি উত্থাপিত বিষয়গুলো তদন্ত করে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত ও জালিয়াতি কারচুপির মাধ্যমে আরোপিত ফলাফল বাতিল করে অভিযুক্ত কেন্দ্র দুটিতে পুনরায় নির্বাচনের দাবী জানান। 
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি একজন প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও আমাকে মোটর সাইকেল পাস দেননি নির্বাচন কর্মকর্তা। অথচ আমার প্রতিদ্বন্দ্বীদের তিনি একাধিক মোটর সাইকেল পাস দিয়েছেন। কালো টাকার কাছে প্রভাবিত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শ্রী ব্রজেন্দ্র নাথ রায়ের অধীনস্থ না রেখে নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করে অন্যকোন নির্বাচন কর্মকর্তার অধীনে পুনরায় একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবী জানান।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

 

উপরে