বগুড়া গাবতলীর জাইগুলি ভোটকেন্দ্রে রামদার কোপে রংমিস্ত্রি জাকির হোসেন জাকির (৩৮) হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের স্ত্রী শাপলা খাতুন বাদী হয়ে ১১জনের নাম উল্লেখ ও ৫/৬জনকে অজ্ঞাত বলে মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে নিহত জাকিরের পরিবার ও সন্তানদের খেলাপড়া দায়িত্ব নেয়ার ঘোষনা দিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মানবদরদী রফি নেওয়াজ খান রবিন।    
জানা গেছে, ৫ই জানুয়ারি বুধবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে গাবতলী উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৫ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে চলছিল। কিন্তু ভোটগ্রহণ চলাকালে দুপুর ২টায় রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের জাইগুলি হাইস্কুল ভোটকেন্দ্রের বাইরে স্থানীয় জাইগুলি গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী ডাঃ সাহিদুল ইসলাম (টিউবওয়েল মার্কা) ও ইউপি সদস্য প্রার্থী ফেরদৌস হোসেন মিঠু (ফুটবল মার্কা) সমর্থকদের মধ্যে হঠাৎ ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় জাইগুলি গ্রামের মৃত নঈম উদ্দিন ওরফে লয়া মিয়ার ছেলে রংমিস্ত্রি জাকির হোসেন জাকির (২৮) ওই সংঘর্ষের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করতে গেলে ফেরদৌস হোসেন মিঠুর লোকজন জাকিরের মাথায়, ঘাড়ে ও কোমরে এলোপাতারিভাবে রামদার দ্বারা আঘাত করে। এতে জাকির হোসেন গুরুতর জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আশংজনক অবস্থায় জাকিরকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নিলে ১ঘন্টা পর ওইদিন বিকেল ৩টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত জাকির হোসেনের স্ত্রী শাপলা খাতুন বাদী হয়ে গত ৬ই জানুয়ারি রাতে জাইগুলি গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফেরদৌস হোসেন মিঠুকে প্রধান করে ১১জনের নাম উল্লেখ এবং ৫/৬জনকে অজ্ঞাত বলে মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে গাবতলী মডেল থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, জাকির হোসেন খুনের ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আই.ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জামিরুল ইসলাম স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, জাকির মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। এদিকে গাবতলী উপজেলা চেয়ারম্যান রফি নেওয়াজ খান রবিন বলেন, ‘আমরা নিহত জাকিরের স্ত্রীকে একটি চাকুরি দেয়ার আপ্রাণ চেস্টা করবো এবং ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচের দায়িত্ব পালন করবো-ইনশাল্লাহ্।

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন