প্রকাশিত : ১২ জানুয়ারী, ২০২২ ২১:৫৫

গোবিন্দগঞ্জে হোটেল ব্যবসায়ী ও শিশুর বিকৃত মরহেদ উদ্ধার

ষ্টাফ রিপোর্টার
গোবিন্দগঞ্জে হোটেল ব্যবসায়ী ও শিশুর বিকৃত মরহেদ উদ্ধার

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পৃথক স্থানে সকাল ও রাতে দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার মহিমাগঞ্জে সকালে উদ্ধার করা বেওয়ারিশ নবজাতক কন্যা শিশুর বিকৃত মরদেহ স্থানীয়রা দাফন করেছে। অপরদিকে রাতে কামারদহ ইউনিয়নের বকচর আলু স্টোরের অদূরে মহাসড়ক সংলগ্ন হোটেল ব্যবসায়ী আজিজার রহমান মৃধার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে বুধবার সকালে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃত আজিজার রহমান বকচর গ্রামের মৃত ছলিম মৃধার ছেলে। 

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকাল মহিমাগঞ্জ রেল স্টেশন সংলগ্ন নলখাগড়ার ঝাড়ে এক নবজাতকের নবজাতকের মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। মুহূর্তের মধ্যে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ সেখানে ভীড় জমায়। 
স্থানীয়দের ধারণা করছেন, অবৈধ গর্ভধাণের ফলে কন্যা শিশুটির জন্মের পর পরই কেউ রাতের আঁধারে সেখানে ফেলে রাখে। রাতে শিয়াল-কুকুর শিশুটির দুই উরুর বিভিন্ন অংশ খেয়ে ফেলেছে। দুপুর পর্যন্ত সেখানে পুলিশ উপস্থিত না হওয়ায় স্থানীয় লোকজন শিশুর বিকৃত মরদেহ পাশের একটি জমিতে দাফন করে।
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইজার উদ্দিন জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে জায়গাটি রেলওয়ের হওয়ায় রেল পুলিশ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারবে।

অপরদিকে মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের কামারদহ ইউনিয়নের আলু স্টোর সংলগ্ন হোটেল ব্যবসায়ী আজিজার রহমানের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। সে বকচর এলাকার মহাসড়ক সংলগ্ন পশ্চিম পাশের বাড়িতে বসবাস করত। তার হোটেলটিও মহাসড়ক সংলগ্ন পশ্চিম পাশে অবস্থিত।
স্থানীয়রা জানান, আজিজার রহমান মৃধার দুই স্ত্রী। একজন তার বাড়িতে ও অপরজন আলাদা বাসায় থাকেন। মহাসড়ক সংলগ্ন তার কিছু জমি অধিগ্রহণ করে সড়ক বিভাগ। সেই জমির অর্থ উত্তোলন ও ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে হয়ত তাদের কোনো মতভেদ থাকতে পারে। এছাড়া রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনাতেও তার মৃত্যু হতে পারে। 
স্বজনদের অভিযোগ, আজিজার রহমানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়েছে। পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করে বলেও দাবি তাদের।
এদিকে হোটেল ব্যবসায়ীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে কামারদহ ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান তৌকির হাসান রচি মুঠফোনে জানান, লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন তিনি। নিহত আজিজার রহমানের মাথার পেছন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কেউ তাকে হত্যা করে ফেলে গেছে নাকি অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় তিনি মারা গেছেন তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি তিনি। পরে খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানা ও হাইওয়ে পুলিশ ভোরে মরদেহ উদ্ধার করে। 
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইজার উদ্দিন জানান, এটি হত্যাকাণ্ড কি-না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বুধবার ভোরে লাশ উদ্ধার করে সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে