প্রকাশিত : ২২ জানুয়ারী, ২০২২ ১৯:৩৬

বগুড়ায় বেড়েই চলেছে করোনা শহরে মাস্ক পড়ার হার কম

ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় বেড়েই চলেছে করোনা
শহরে মাস্ক পড়ার হার কম

বগুড়ায় বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, তথ্য অফিসের প্রচারনার পরেও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে সাধারণ মানুষের মাঝে  অনিহা দেখা যাচ্ছে। মাস্ক ছাড়া চলাচল করছে সাধারণ মানুষ।

বগুড়া শহরের সাতমাথা, কালিতলা, বড়গোলা, কলোনী, স্টেশন রোড, জলেশ^রীতলা, চেলোপাড়া, ফতেহ আলী বাজার, কাঠাঁলতলা, থানামোড়, নিউ মাকের্ট সহ বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক পড়ার হার কম দেখা যাচ্ছে। অনেকই আবার নিরাপদ দুরত্ব মানছেন না। রাত অবধি খোলা থাকছে ফুটপাতের দোকান ও ভ্রাম্যমান দোকান। যে কারণে জনসমাগমও বাড়ছে। জেলা শহরের বিভিন্ন দোকানে, প্রতিষ্ঠানে মাস্ক পড়ার কম দেখা যাচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে বলা হচ্ছে জেলার মধ্যে সদর উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হার সবচেয়ে বেশি। 
গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ১০৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ২৩৬ টি নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্তের হার ৪৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। নতুন করে কেউ মারা না যাওয়ায় মোট মৃত্যু ৬৮৮ জনেই অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার করোনা বিশেষায়িত ৩টি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫৮জন। এর আগের দিন ৩২৭ নমুনার ফলাফলে ১১১ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন।
শনিবার শহরের বিভিন্ন স্থানে ও উপজেলা পর্যায়ে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গন। বেলা ১২ টার দিকে বগুড়া শহরের সাতমাথাসহ বিভিন্ন মার্কেটে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালাহউদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে অভিযানে জরিমানা আদায় সহ পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন। এসময় নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট সাহাতদ হুসেইন, রিপন বিশ্বাসসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। রোটারী ক্লাব অব বগুড়া, ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা শহরের সাতমাথায় পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন।
 শহর ও উপজেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক জিয়াউল হকের সার্বিক নির্দেশনায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালাহউদ্দিন আহমেদ। সকলকে মাস্ক পরিধান নিশ্চিতসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রতিদিনই নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট ও ইউএনওগণ অভিযান অব্যহত রেখেছেন বলে তিনি জানান। অভিযানে মাস্ক বিতরণ ও জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে