গাবতলীর সোনারায় ইউনিয়নের ৩টি ভোটকেন্দ্রে ভোট কারচুপির আশঙ্কা!

আগামি ৩১জানুয়ারি ৬ষ্ট ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বগুড়ার গাবতলীতে সোনারায়, সুখানপুকুর ও নেপালতলী ইউনিয়নে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু সোনারায় ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোট কারচুপি ও সহিংতার শঙ্কায় রয়েছেন। এ ব্যাপারে ২৩জানুয়ারি রোববার বিষয়টি উপজেলা রিটার্নিং অফিসারকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন সোনারায় ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (মোটর সাইকেল মার্কা) মোঃ আজাদুল ইসলাম। এর অনুলিপি দিয়েছেন, বগুড়া জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন কমিশনার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে। লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে,‘সোনারায় ইউনিয়নের জামিরবাড়িয়া খোদেজা হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র, খুপি মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র এবং খুপি দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট কারচুপি, বিভিন্ন অনিয়ম, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা এবং ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা প্রদান করার সম্ভাবনা রয়েছে।’ সোনারায় ইউনিয়নের আরেক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ সাইফুল ইসলাম (চশমা মার্কা) স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন যেখানে-সেখানে অসংখ্য নির্বাচনী অফিস তৈরি করেছেন-ভোটের আগে এসব নির্বাচনী অফিস নিজেরাই পুড়িয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করবেন বলে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে গাবতলী মডেল থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, আমরা আগে থেকেই সোনারায় ইউনিয়নের ওই তিনটি ভোটকেন্দ্রকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি। কারো মিথ্যা অভিযোগে পুলিশ নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করবে না। এ ব্যাপারে উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ইউএনও রওনক জাহান ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার রুহুল আমীন বলেন, আগামি ৩১জানুয়ারি গাবতলীর সোনারায় ইউনিয়নসহ অন্যান্য ইউনিয়নে যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সুসম্পন্ন করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কয়েকধাপে সাজানো হয়েছে। যেকোনমূল্যে ভোটগ্রহণ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা হবে। কাউকে কোন অনিয়ম করতে দেয়া হবে না।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন