বগুড়ায় চালু হলো পুলিশের বডি ওর্ন ক্যামেরা

প্রযুক্তিগতভাবে পুলিশের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার অগ্রযাত্রায় জনগণের কল্যাণ সাধন ও পুলিশের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার প্রত্যেয়ে বগুড়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে পুলিশের বডি ওর্ন ক্যামেরা। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের সাতসাথায় বেলুন ও ফেস্টুন উড়ানোর পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের বডি ওর্ন ক্যামেরা পড়িয়ে দিয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে যার উদ্বোধন করেন বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম।
উদ্বোধনী বক্তব্যে পুলিশ সুপার বলেন, বিশ্ব মানের সেবা নিশ্চিতে বাংলাদেশ পুলিশের আধুনিকায়নের অংশ হলো কর্তব্যকালে এই বডি ওর্ন ক্যামেরার ব্যবহার। যার মাধ্যমে পুলিশি সেবা সচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আসবে। শুধু তাই নয় পুলিশের এই ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’ ভ্রাম্যমাণ সিসিটিভি হিসেবে কাজ করবে। ক্যামেরার সঙ্গে বিল্ট ইন গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) থাকায় ওই পুলিশ সদস্যের অবস্থান কন্ট্রোলরুম থেকে সহজে শনাক্ত করা যাবে। এই ক্যামেরায় ধারণ করা যাবতীয় তথ্য চলে যাবে কেন্দ্রীয় সার্ভারে। তাৎক্ষণিক কোনো ঘটনা চোখ এড়িয়ে গেলেও এই ক্যামেরা সবকিছু রেকর্ড করে রাখবে। তিনি আরো বলেন, এই ক্যামেরাটি একটানা ৯ ঘন্টা ভিডিও ধারণ করতে সক্ষম হবে। তাই যেসব এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা নেই সেই এলাকাতে যেকোন আভিযানিক কার্যক্রমে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পুলিশ সুপার সুদীপ চক্রবর্ত্তী বগুড়ার প্রেক্ষাপটে এই ক্যামেরার ব্যবহার প্রসঙ্গে বলেন, প্রাথমিকভাবে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে এটি ব্যবহৃত হবে যার লক্ষ্যে ১ম ধাপে ১২টি এবং ২/৩ দিনের মধ্যেই আরো ৩০টি সর্বমোট ৪২টি বডি ওর্ন ক্যামেরা সংযুক্ত করা হলো বগুড়ায়। তবে শহরের সাতমাথা, চারমাথা, তিনমাথাসহ মোকামতলা, শেরপুর হাইওয়ে, সান্তাহার হাইওয়েসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এটির ব্যবহার প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করা হবে। যদিও পর্যায়ক্রমে এটির ব্যবহার বৃদ্ধি করা হবে মর্মে জানান জেলা পুলিশের এই কর্ণধার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার যথাক্রমে আলী হায়দার চৌধুরী (প্রশাসন), আব্দুর রশিদ (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্), মোতাহার হোসেন (ডিএসবি), শরাফত ইসলাম (সদর সার্কেল), বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম, সদর থানার ওসি সেলিম রেজাসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যাযের কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন