পদবী জালিয়াতি করে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে

নাম হাফিজুর রহমান। তিনি কাজিপুরের সোনামুখি ফাজিল মাদ্রাসার একজন সহকারী গ্রন্থাগারিক। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে জিতিয়ে দিতে পদবী জালিয়াতি করে প্রভাষক হিসেবে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। আর এভাবেই নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট গণনার ফলাফলে কারচুপির মাধ্যমে জিতিয়ে দেন হাফিজুর রহমান।
তার এই অনিয়ম ও দূর্ণীতির বিচার চেয়ে এখনও দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন কাজিপুরে সোনামুখি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী মজনু মিয়া। রবিবার বিকেলে ধুনট মডেল প্রেস ক্লাবে লিখিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মজনু মিয়া ওই প্রিজাইডিং অফিসারের শাস্তি এবং ভোট পুন:গণনার দাবি জানিয়েছেন।
ধুনট মডেল প্রেস ক্লাবে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে সোনামুখি ইউনিয়নের স্থলবাড়ী ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মজনু মিয়া বলেন, গত ৫ জানুয়ারি কাজিপুরের সোনামুখি ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মোরগ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আনোয়ার হোসেন, ফুটবল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জাহাঙ্গীর আলম এবং তালা প্রতীকে আমি অংশ নেই।
নির্বাচনে ওই ওয়ার্ডের স্থলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন সোনামুখি ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী গ্রন্থাগারিক হাফিজুর রহমান। কিন্তু ভোট গণনার রেজাল্ট সীটে তিনি নিজেকে প্রভাষক হিসেবে প্রিজাইডিং অফিসারের সীল ও স্বাক্ষর দেন। যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং নিয়ম বহিভূত।
সংবাদ সম্মেলনে মজনু মিয়া আরো অভিযোগ করে বলেন, একজন প্রতিবন্ধী হিসেবে আমাকে এলাকার লোকজন ভোট দিলেও পদবী জালিয়াতি করে প্রিজাইডিং অফিসার হাফিজুর রহমান ভোট গণনায় কারচুপি করে তার পছন্দের প্রার্থী মোরগ মার্কার আনোয়ার হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন। এব্যাপারে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক, নির্বাচন কমিশন সহ বিভিন্ন দপ্তরের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
তবে এব্যাপারে সোনামুখি ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী গ্রন্থাগারিক হাফিজুর রহমানের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন