প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ২৩:৪৯

নন্দীগ্রামে জুয়েলারি ব্যবসার অন্তরালে সুদের ব্যবসা জমজমাট

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
নন্দীগ্রামে জুয়েলারি ব্যবসার অন্তরালে সুদের ব্যবসা জমজমাট

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার সদর সহ বিভিন্ন বাজারে জুয়েলারি ব্যবসার অন্তরালে সুদের ব্যবসা জমজমাট ভাবে চলছে দেখার কেউ নেই। প্রাপ্ত তথ্য জানা গেছে, নন্দীগ্রাম পৌর শহরে ছোট বড় প্রায় অর্ধশত জুয়েলারির দোকান আছে, কিন্তু কিছু কিছু দোকানে সোনা রুপা গহনা পত্র বিক্রয় না থাকলে ও নাম মাত্র জুয়েলারির দোকান কে সাইনবোর্ড বেনে চলছে জমজমাট ভাবে বেপরোয়া গতিতে সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সোনা বা রুপার বিভিন্ন ধরনের গহনা রেখে অর্ধেক মূল্যে নির্ধারন করে তার উপর স্বর্নকার টাকা দিয়ে থাকে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে কয়েকজন স্বর্নকার এই প্রতিনিধিকে জানান, শতকরা ৫ থেকে ৮ টাকা হারে সুদের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ ধরলে মেয়াদ শেষ হবার পর রক্ষিত গহনা আর ফেরত পায়না।  আবার অনেক সময়  প্রভাবশালী স্বর্নকারগন স্ট্যাম্প বা ফাকা চেক সই করে নিয়ে টাকা দিয়ে থাকে। এমনি ভাবে ব্যবসা করে অনেক জুয়েলারি মালিক  কোটিপতি বনে  গেছে। অপর দিকে অভাবী মানুষ দরিদ্রতার রোষ্টা নলে পড়ে মার খাচ্ছে। নন্দীগ্রাম উপজেলার রনবাঘা, উমরপুর, কুন্দার, শিমলা, হাটকড়ই, বীজরুল, ধুন্দার সহ বিভিন্ন  বাজারে জুয়েলারি ব্যবসার অন্তরালে সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন  জুয়েলারি  দোকান ঘুরে দেখা গেছে দোকানে তেমন সোনার  গোহনা না  থাকলেও লোকজনের ব্যাপক  আশা যাওয়া চলছে। বর্তমানে এই উপজেলায়  মানুষের হাতে তেমন কোন কাজ নেই যার কারনে টাকার প্রয়োজন মিটাতে স্বর্ন নিয়ে জুয়েলারির দোকানে যেতে হচ্ছে। সেই সুযোগে তারাও চওড়া হারে সুদ আদায় করে নিচ্ছে। এদের হাত থেকে বাঁচতে হলে প্রশাসনের নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে অভিঙ্গ মহল মনে করেন।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে