প্রকাশিত : ১১ মার্চ, ২০২২ ০১:২৭

আলু বোঝাই ট্রাক থামিয়ে ইজারার নামে চাঁদাবাজি: ২ জন গ্রেফতার

ষ্টাফ রিপোর্টার
আলু বোঝাই ট্রাক থামিয়ে ইজারার
নামে চাঁদাবাজি: ২ জন গ্রেফতার

বগুড়ার শাজাহানপুরে আলুবোঝাই ট্রাক থামিয়ে চালককে জিম্মি ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে খাজনার নামে চাঁদা দাবির অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে শাজাহানপুর থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, খরণা ইউনিয়নের বনভেটি দক্ষিণপাড়া গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে মুঞ্জুরুল হক ওরফে মুঞ্জু (২৬) একই ইউনিয়নের পান্ডারপাড়া গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে
 আব্দুর রহিম (৫০) । 
এ ঘটনায় ট্রাকচালক রনি খান শাজাহানপুর থানায় চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছেন । বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে অভিযানে এজাহারভুক্ত বাকি ৩ জন কৌশলে পালিয়ে গেছে। 
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বরিশাল জেলার বাসিন্দা ট্রাকচালক রনি খান মঙ্গলবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে জয়পুরহাট থেকে ৩৫০ বস্তা আলু বোঝাই করে বগুড়ার কাহালু ও শাজাহানপুর উপজেলার ভিতর দিয়ে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার গোহাইল ইউনিয়নের আতাইল এলাকায় পৌছা মাত্র ৫-৬ জন হাতে লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে পথরোধ করে বস্তা প্রতি ২৫ টাকা করে মোট ৮ হাজার ৭৫০ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা ট্রাক চালক ও হেলপারকে জোরপূর্বক ট্রাক থেকে নামিয়ে ৪ ঘন্টা আটকে রাখে। টাকা না দেয়ায় একপর্যায়ে তারা ট্রাক থেকে আলুর বস্তা নামিয়ে নিতে ধরলে টাকা সংগ্রহের কথা বলে কৌশলে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করেন চালক রনি। 
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আলুবোঝাই ট্রাকসহ তাদেরকে উদ্ধার করে এবং মুঞ্জুরুল হক ওরফে মুঞ্জু ও আব্দুর রহিম নামের দুইজনকে আটক করে। এসময় অন্যরা পালিয়ে যান। 
শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। মূলত ৯৯৯ এ কল পেয়েই তারা দ্রুততম সময়ে ভিকটিম দের নিরাপদে উদ্ধারসহ চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও তিনি বলেন ইজারার নামে সড়কে এমন চাঁদাবাজি সত্যি দু:খজনক যা কঠোরহস্তে দমন করা হবে। কারণ সাধারণ ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহনের সময় এমন চাঁদাবাজিই দ্রব্যমূল্যের দাম অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয় যা বন্ধে সকলকেই দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে