নন্দীগ্রামে ব্যাংক চেক চুরি করে স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ

বগুড়ার নন্দীগ্রামে কুন্দারহাটের দাদন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যাংক চেক চুরি করে স্বাক্ষর জাল ও জমিজমা বিক্রি করতে চাপে ফেলে ষাটার্ধ্ব বৃদ্ধ এক মসজিদের ইমামের কাছে ২৫ লাখ টাকা দাবির অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের কামুল্যা পশ্চিমপাড়ার মৃত ওমর আলী সোনারের ছেলে মসজিদের ইমাম আব্দুল মোতালেব। তিনি লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, তার বড় ছেলে হারুনুর রশিদসহ কালাইচাপর গ্রামের মুকুল, খেংশহর গ্রামের বেলাল, বগুড়া সদরের বেলাইল গ্রামের রুস্তম আলী, তার ছেলে রুবেল যৌথভাবে দীর্ঘদিন সমিতির নামে বগুড়া তিনমাথা ও কুন্দারহাটে দাদন ব্যবসা করে। বড় ছেলে রশিদকে ব্যবহার করে ওই দাদন ব্যবসায়ীরা বৃদ্ধ পিতার জমিজমা বিক্রি করে টাকা নিয়ে সমিতির ব্যবসা করবে বলে চাপ দেয়। তাতে রাজি না হওয়ায় টাকার জন্য অপহরণ, বেকায়দায় ফেলে এবং জোরপূর্বক জমিজমা লিখে নিয়ে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছে, অভিযোগ করে ষাটার্ধ্ব বৃদ্ধ বলেন, দাদন ব্যবসায়ীদের কুপরামর্শে ওই বৃদ্ধের ঘরের ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার থেকে তার নিজ নামীয় সোনালী ব্যাংক নন্দীগ্রাম শাখার দুটি চেক চুরি করে বড় ছেলে রশিদ। চেক দুটিতে বৃদ্ধের স্বাক্ষর হুবহু জাল করে ব্যাংকে গিয়ে ডিজঅনার করেছে। ব্যাংক থেকে তাকে কিছুই জানানো হয়নি। তিনি দীর্ঘ ৩ বছর ধরে কোমাড়ের ব্যথাজনিত কারণে অসুস্থ। আব্দুল মোতালেব সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তাকে দুটি নোটিশ পাঠিয়েছে। দাদন ব্যবসায়ী মুকুল এবং বেলাল নাকি আমাকে ২৫ লাখ টাকার রড, সিমেন্ট ও ধান বাঁকিতে দিয়েছে। আমার বিল্ডিং বাড়ি নেই, রড, সিমেন্ট বা ধানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নেই, তাহলে এতো টাকার মালামাল তারা কিভাবে বাঁকিতে দিল? জমিজমা বিক্রি করে সর্বশান্ত করার জন্য বড় ছেলেকে ব্যবহার করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমি নিরুপায় এক বাবা। প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছেলে শামীমুল ইসলাম, কন্যা মরিয়ম নেছা ও ছোট ছেলে রাসেল মাহমুদ। এদিকে অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্যে মোফাজ্জল হোসেন মুকুল দাবি করেন, এ অভিযোগের ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন