অভিযুক্ত ঘাতক রাকিব-সাকিবকে গ্রেফতারের দাবি এলাকাবাসীর
.jpg)
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাটা ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামে পুকুরের দখল নিয়ে পরিকল্পিতভাবে রেহানা আক্তার মিলি হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত মূল আসামী রাকিব-সাকিবকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে ফাঁসি কার্যকরের দাবি তুলেছে এলাকাবাসী।
শনিবার (১২ মার্চ) দুপুরে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তে আসে। এসময় প্রিণ্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা ঘটনার মূল তথ্য উপাত্ত সংগ্রহে আসলে উপস্থিত এলাকাবাসী রেহানা হত্যার সকল আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। সেই সাথে হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শামীম হোসেনের ছেলে রাকিব (২১) ও শাকিব (১৮) কে দ্রুত আটক করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান।
জানা যায়, উপজেলার ময়দানহাটা ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের তিন ভাই জোব্বার মণ্ডল, হামিদ আলী মণ্ডল ও খোশবার মণ্ডল তিন ভাই। এর মধ্যে জোব্বার মণ্ডলের একমাত্র কন্যা রুনাকে বাড়ি সংলগ্ন দেলবারের ছেলে শামীমের সাথে বিয়ে দেন সব সম্পত্তি মেয়েকে দানপত্র করেন। মেয়ে-জামাই তাদের সব সম্পত্তি ভোগ দখল করতে থাকেন। এক পর্যায়ে বাড়ি সংলগ্ন ৬০ শতক একটি পুকুর নিয়ে শামীম তার দুই ছেলে রাকিব সাকিবকে নিয়ে অন্যদের সাথে দ্বন্দ্বে জড়ায়। এ নিয়ে কয়েক দফা হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ঘটনার আগের দিন ৬ মার্চ অভিযুক্তরা নিহত রেহানার চাচা-ভাই-ভাতিজাদের মারপিট করে আহত করে। পরের দিন ৭ মার্চ সোমবার অভিযুক্ত রিপু আলু বিক্রির কথা বলে লোক মারফত রেহেনাকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। রেহানা সরল বিশ্বাসে সকালে দাঁত ব্রাশ করতে করতে রিপুর বাড়িতে গেলে ওঁৎপেতে থাকা শামীম, রাকিব, শাকিব সহ অন্যরা রেহানাকে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে রাকিব ও সাকিব তাদের হাতে থাকা ধারালো ছুরি-বটি দিয়ে রেহানার বুক ও মাথায় আঘাত করলে সে লুটিয়ে পড়ে। এসময় ভাতিজা জাহেদী হোসেন তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে তাকেও বটি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয়। প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রেহানাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনায় আলাল ইসলাম বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে অভিযুক্ত করে শিবগঞ্জ থানায় মামলা নং ১০ দায়ের করে। ঘটনার তারিখেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রুনা বেগম (৩৫), জুয়েল (৪৭), সিদ্দিক (৫৫), রব্বানী (৫৬) কে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে এবং পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেলোয়ারের ছেলে শামীমকে ৯ মার্চ গ্রেফতার করে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন