নন্দীগ্রামে বিদেশ ফিরোত সাজেদুল এখন লাউ চাষ করে স্বাবলম্বী

বগুড়ার নন্দীগ্রাম সাজেদুল ইসলাম বিদেশ থেকে ফিরে এসে হাইব্রিড জাতের লাউ চাষ করে এখন স্বাবলম্বী হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের ভদ্রদিঘী গ্রামের মো: আব্দুল হামিদের ছেলে সাজেদুল ইসলাম চাকুরির কারনে সাউথ আফ্রিকায় যায়। সেখানে দেড় মাস যাবৎ কাজ করে বাড়িতে ফিরে আসে তার পর তিনি দুবাই যান, সেখানেও থাকতে না পারায় পুনরায় দেশে ফিরে আসেন, এক সময় বেকার হয়ে পড়েন ঠিক সেই মুহূর্তে পাশে দাড়ায় নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিস। নন্দীগ্রাম কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবুর সুপরামর্শে তিনি লাউ চাষ শুরু করেন। সাজেদুল ইসলাম প্রথমে ৫০ শতক জমি লাউ চাষের জন্য বেছে নেন। উক্ত জমি তৈয়ার করার পর শেরপুর পিন্টু বীজ ভান্ডার থেকে বীজ ক্রয় করে দেড় ফুঁট পরপর অনুযায়ী গত ২০২১ সালের নভেম্বর মাসের ১০ তারিখে বীজ রেপান করেন। এরপর তিনি টানা ৭৫ দিন গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করেন, ৭৫ দিন অতিবাহিত হলে তার লাউ গাছে লাউ ধরতে শুরু হয়। তিনি এই প্রতিনিধিকে জানান,গত দেড় মাসে প্রায় ২হাজার পিচ লাউ তোলা হয়েছে, যার বাজার মূল্য প্রতি প্রতি পিচ গড়ে ২০/৩০ টাকা করে । মোট ৪১ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছি আগামী ২মাস লাউয়ের গাছ থাকবে তখন বাজার মূল্য যদি ভাল থাকে তাহলে ৫০/৫৫ হাজার টাকা বিক্রয় করা যেতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। তার বীজ সার জমি তৈয়ার শ্রমিক খরচ সহ সর্বমোট ২৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। নিজের জমি হওয়ার কারনে সে বেশি লাভবান হতে চলেছে, বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা এসে তার লাউ ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম, সুজন কুমার, ও কৃষি অফিসার আদনান বাবুর সঠিক পারমর্শে তিনি লাউ চাষ করে আজ লাভের মুখ দেখছেন। তার বেশ কিছুদিন আগে তার লাউ চাষের উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ বগুড়া জেলা কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন ধরনের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। এবং তারা সকলে কৃষি কর্মকর্তার উপর সন্তোষ প্রকাশ করেন।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন