প্রকাশিত : ২২ মার্চ, ২০২২ ১৫:২১

খেলাধুলায় বাধা: দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩২

অনলাইন ডেস্ক
খেলাধুলায় বাধা: দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩২

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বালিয়াচড়া ও সোনাখোলা গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকালে দুই গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩২ জন আহত হয়েছেন।

এ সময় পাঁচটি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে দুটি বাড়ির পাটকাঠির মাচায় আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া বসতবাড়ির বিভিন্ন গাছপালাও কেটে ফেলা হয়। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ও ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সংঘর্ষে আহত রুবেল, জালাল, সালেহা বেগম, খোকন মুন্সি, রাজ্জাক শেখ, ওমর আলী মোল্লা, ইমরান মাতুব্বর, এনামুল শেখ, লালন হরকরা, রমজান শেখ, হিট মাতুব্বর, মিজানুর মুন্সি, বোরহান শেখ, জাকির ও বিল্লাল হোসেনকে স্থানীয় জনতা উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আলগী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাউসার ভূঁইয়ার একটি জমির ওপর বালিয়াচড়া গ্রামের ছেলে মেয়েরা খেলাধুলা করত। সোনাখোলা গ্রামের কিছু লোকজন খেলাধুলায় বাধা দেন। এ নিয়ে গত সপ্তাহে সোনাখোলা গ্রামের কয়েকজন যুবক বালিয়াচড়া গ্রামের মিরাজ, আলামিন, সাঈদ ও নাঈমকে মারধর করেন। সেসময় স্থানীয় জনতা তাদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

বিষয়টি নিয়ে সোনাখোলা ও বালিয়া চড়া গ্রামের মাতুব্বরগন সালিশ করে মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু মীমাংসার আগেই মঙ্গলবার সকালে সোনাখোলা গ্রাম ও বালিয়াচড়া গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুটি গ্রামের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরবর্তীতে জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। আইনী বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন  

উপরে