চেহারা পাল্টে ৭ বছর আত্মগোপন করেও শেষরক্ষা হলোনা জনি মোল্লার

চেহারা ও বেশভূষা পাল্টিয়ে ৭ বছর আত্মগোপনে থেকেও শেষ রক্ষা হলোনা বগুড়ার শহর যুবদল নেতা জনি মোল্লার। নাশকতা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ১৭ মামলা থেকে বাঁচতে বগুড়া ছেড়ে শ্বশুর বাড়ির এলাকা দিনাজপুরের খানসামার ডাঙ্গাপাড়াতে বসবাস শুরু করেছিলেন তিনি।
৩২ বছর বয়সী জনি বগুড়া পৌর যুবদলের ১১ নাম্বার ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মালতিনগর এলাকার টুকু মোল্লার ছেলে। বগুড়া সদর থানা পুলিশের একটি দল সোমবার রাতে দিনাজপুরের ডাঙ্গাপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে৷
বগুড়া সদর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, যুবদল নেতা জনি ২০১৪ সাল পর্যন্ত নাশকতা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ১৭ মামলায় অভিযুক্ত। এরপরেই মামলাগুলোতে সাজা হওয়ার ভয়ে তিনি পরিবারসহ বগুড়া থেকে পালিয়ে যান৷ দিনাজপুরে শ্বশুরবাড়ি এলাকায় জমি কিনে সেখানে বসতি গড়ে বসবাস শুরু করেন। পেশা হিসেবে ওই এলাকাতে কাপড়ের ব্যবসাও শুরু করেন।
সদর থানা পুলিশ সূত্র আরও জানায়, তার মামলাগুলো বর্তমানে বিচারাধীন আছে। মূলত মামলায় হাজিরা দেওয়া পরবর্তীতে দন্ড পাওয়া থেকে বাঁচতে তিনি বগুড়া থেকে পালিয়ে যান।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকির আল আহসান জানান, গ্রেফতার জনিকে মঙ্গলবার দুপুরের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সাহায্য তাকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে পলাতক ওয়ারেন্টগুলো তামিলেও তারা জোর দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন মর্মে জানান এই কর্মকর্তা।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন