বগুড়ায় অটোভ্যান ছিনিয়ে নিতেই খুন করা হয় স্কুল ছাত্র বিজয়কে গ্রেফতার ৩

বগুড়ার কাহালু উপজেলার নারহট্ট ইউনিয়নের ভ্যাপড়া গ্রামের ডোবা থেকে উদ্ধারকৃত স্কুল ছাত্র ফাহারুল ইসলাম বিজয় (১৮) লাশ উদ্ধারের ঘটনা উন্মোচিত হয়েছে। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের সদস্যরা। ভ্যান ছিনতাই করার জন্যই বিজয়কে খুন করে গ্রেফতারকৃত তিনজন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- বগুড়া সোনাতলার মাদারীপাড়া এলাকার আজিজ প্রামানিকের ছেলে মো: রিজু (২২), একই এলাকার শাজাহান সরকারের ছেলে আশাদুল ইসলাম (২০) এবং গাবতলীর একবাড়িয়া এলাকার ফটু মিয়ার ছেলে শাবলু মিয়া সরকার (৪০)। মূলত ভ্যান ছিনতাই করার জন্যই বিজয়কে খুন করে রিজু।
মঙ্গলবার বেলা ১২টায় র্যাব-১২ বগুড়া কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে কোম্পানী কমান্ডার সোহরাব হোসেন জানান, গত ৩০ মার্চ গাবতলী উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের লিটন আলীর ছেলে ফাহারুল ইসলাম বিজয় নিখোঁজ হয়। পরের দিন কাহালু উপজেলা থেকে বিজয়ের লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র বিজয় পড়ালেখার পাশাপাশি তার অস্বচ্ছল বাবাকে আর্থিক সহায়তার জন্য ভ্যান চালাতো। হত্যাকান্ডের পর ১ এপ্রিল নিহত বিজয়ের বাবা কাহালু থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী জোরদার করে। গত ৪ এপ্রিল রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা এবং র্যাব-৭ এর একটি দল একাধিক অভিযান পরিচালনা করে চট্রগ্রামের সীতাকুন্ড থেকে হত্যাকান্ডে জড়িত মূল আসামি রিজুকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত রিজু হত্যাকান্ডের পর প্রথমে গাজীপুরে আত্মগোপন করে এবং পরে চট্রগ্রামে পালিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিজু স্বীকার করে যে, সাতদিন আগের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সে এবং তার এক সহযোগী মিলে বিজয়কে ছুরিকাঘাত এবং পেরেক দিয়ে জখমের মাধ্যমে হত্যা করে। হত্যার পর বিজয়ের ভ্যান তারা আশাদুল ও শাবলু মিয়ার কাছে ৯ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। পরে সেই ভ্যান খন্ড খন্ড অবস্থায় উদ্ধার করেছে র্যাব-১২। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাহালু থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন