বগুড়ায় ২য় ধাপে ফ্যামিলি কার্ডে টিসিবি পণ্য বিক্রি শুরু

২য় ধাপে বগুড়ায় ১ লাখ ৬৩ হাজার ১৯৮ পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ডে টিসিবির পণ্য বিতরণ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) নির্ধারিত ৯৬ জন ডিলারের মাধ্যমে মসুর ডাল, সয়াবিন তেল, চিনি ও ছোলা বিক্রি করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বগুড়া শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ জিয়াউল হক। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সমর কুমার পাল, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরুল ইসলাম এবং জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আল রাজি জুয়েল, পৌর কাউন্সিলর লায়ন কবিরাজ তরুন চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন। এ ওয়ার্ডে ৮৬৯ জন কার্ডধারী ব্যক্তি টিসিবির পণ্য কম মূল্যে ক্রয় করতে পারবেন।
বগুড়া শহরের ৯ নং ওয়ার্ডে কেন্দ্রিয় ঈদগাহ মাঠে পন্য বিক্রির উদ্বোধন করেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: আলহাজ শেখ। এসময় সমাজসেবক ফারুক আহমেদ পিটুসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এ ওয়ার্ডে ৮৪৯ জন টিসিবি পন্য পাবেন। একই সময়ে শহরের ৫ নং ওয়ার্ডে পন্য বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম ডাবলু।
উল্লেখ্য, ভ্রাম্যমাণ ট্রাক থেকে একজন কার্ডধারী ৫৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি চিনি, ১১০ টাকা দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল, ৫০ টাকা কেজিতে ২ কেজি ছোলা ও ৬৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। বগুড়া জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, গত ২০ মার্চ বগুড়া জেলায় প্রথমবারের মত বগুড়ায় ফ্যামিলি কার্ডের বিপরীতে টিসিবির পণ্য বিক্রিয় কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুর পর অভাবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া পরে যায়। কার্ড থাকায় কেউ ফিরে যায়নি।
বাজারের চেয়ে কম মূল্যে ভালো মানের পণ্য পেয়ে খুশি সুবিধাভোগীরা। তারা জানান, সরকার প্রধান তাদেরকে কম মূল্যে পণ্য দিচ্ছেন, এতে তারা উপকৃত। বাজারের জিনিসপত্রের দাম বেশি, সে তুলনায় টিসিবি থেকে কম মূল্যে ভালো পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। টিসিবির পণ্য ক্রয়কারি সাহিদুর রহমান ও দীপালী সাহা জানান, কম মূল্যে টিসিবি পণ্য পেয়ে তারা খুশি। এভাবে সারাবছর পণ্য বিক্রি হলে তারা উপকৃত হতো।
বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সমর কুমার পাল জানান, সদর উপজেলায় ২৬ হাজার ৩৪২ জন এ সুবিধা পাচ্ছেন, এর মধ্যে পৌর এলাকায় ১৯ হাজার ৩৮২ জন কার্ডের মাধ্যমে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুম আলী বেগ জানান, ইতিপূর্বে সুষ্ঠভাবে প্রথম ধাপের পণ্য বিক্রি সম্পন্ন হয়েছে। ২য় ধাপের এ কার্যক্রমের প্রথম দিন ১২টি উপজেলার ২৯টি পয়েন্টে ২০ হাজার ২০২ পরিবারের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রয় করা হবে। পর্যায়ক্রমে জেলার সকল উপজেলা ও পৌরসভায় কার্ডধারীরা এ সুবিধা পাবেন।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন