বগুড়ায় ঝড়ের কবলে কৃষকের স্বপ্নভঙ্গ
ধানের বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকরা স্বপ্ন বুনলেও ঝড়-বৃষ্টিতে সেই স্বপ্ন ম্লান হয়ে গিয়েছে। ঝড়ের কারনে অর্ধেক ফসল উঠাতে পারবে কিনা, সেই চিন্তায় কৃষকের চোখে এখন ঘুম নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বগুড়ার ধুনট, শেরপুর, নন্দীগ্রাম ও সারিয়াকান্দিসহ ১২টি উপজেলায় এবার ইরি-বোর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছিল। কৃষকরাও আনন্দে স্বপ্ন বুনেছিল অধিক ফলনের আশায়।
তবে গত এক সপ্তাহ আগে কাল বৈশাখী ঝড়ে কৃষকদের সেই স্বপ্ন কেড়ে নিল। আধা পাকা ধান ঝড়ের কারনে মাটিতে পড়ে গেলো। ঝড়ের পর আবার বৃষ্টিতে সেই পড়ে যাওয়া ধানে পচন ধরতে শুরু করেছে। দিনমজুর শ্রমিকের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় সেই ধান কেটে ঘরে আনতে লোকসান গুনতে হবে ভেবে অনেকেই ধান কাটছেন না।
ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী গ্রামের রমজান আলী জানান, নিজের জমি না থাকায় ৪ বিঘা অন্যের জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করেছিলেন। ধান চাষ করতে এনজিও থেকে সুদে টাকাও নিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ ঝড়ে তার জমিতে ধান গাছ পড়ে গেছে মাটিতে। এছাড়াও কয়েকদিনের বৃষ্টিতে আধা পাকা ধান জমিতেই পঁচতে শুরু করেছে।
রমজান আলী আরো জানান, ধান কাটলে অর্ধেক ধানও পাওয়া যাবেনা। তার উপর আবার ১০০ টাকা করে দিনমজুর শ্রমিক। ধান কাটতে দিন মজুরের খরচ দিয়ে লোকসান গুনতে হবে। এদিকে এনজিওর কিস্তির টাকা শোধ কিভাবে করবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে রমজান আলী।
সারিয়াকান্দী উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের কৃষক গোবিন্দ কুমার জানায়, তার চাষকৃত ৫ বিঘা জমির ধানক্ষেত ঝড়ে মাটিতে পড়ে গেছে। বৃষ্টিতে সেই ধানের পঁচন ধরেছে।
বগুড়া কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক দুলাল হোসেন জানান, ঝড়ে ধান পড়ে গেলেও তেমন ক্ষতি হবে না। এজন্য ধান গাছ আঁটি বেধে দিতে হবে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন