প্রকাশিত : ১৪ মে, ২০২২ ২২:০৬

বগুড়ার মহাস্থানহাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ আহত-৪

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার মহাস্থানহাটে আধিপত্য বিস্তারকে
কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ আহত-৪

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থানহাট উপজেলার মধ্যে একটি বৃহৎ হাট। একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা দীর্ঘদিন যাবৎ হাটটি ইজারা নিয়ে পরিচালনা করে আসছিলেন। চলতি বাংলা সনের পহেলা বৈশাখ থেকে অপর একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা মহাস্থানহাট ইজারা গ্রহণ করে। পূর্বের ইজারাদারের লোকজনরা ঈর্ষান্বিত হয়ে হাটের খাজনা আদায়ে বাঁধা প্রদান করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা বর্তমান ইজারাদারের লোকজন ও হাটপরিচালনা কমিটির সদস্যরা হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছে মর্মে অভিযোগ আনেন এবং উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। পক্ষে-বিপক্ষে থানাতেও অভিযোগ প্রদান করা হয়। এর ফলশ্রুতিতে দুই পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করে এবং বিরোধীপক্ষ খাজনা আদায়ে বাঁধা প্রদান করে। একারণে প্রথম দফায় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের মত ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও চুড়ান্ত সুরাহা করতে পারেনি। সমস্যার অন্তরালে রয়েছে দু’পক্ষের প্রভাবশালীদের মদত। গত ১০ মে উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা খাজনা আদায়ের মূল্য তালিকা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থায়ীভাবে বিলবোর্ডের মাধ্যমে প্রদর্শন করে। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। বিবাদমান পক্ষ পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চক্রান্তে লিপ্ত হয়। ফলে তারা  সংঘবদ্ধ হয়ে বুধবার ১১ মে  দুপুর ১২’টায় প্রতিপক্ষের উপর হামলা করে। জিয়াউর রহমান নামে ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের এক সদস্যকে মারধর করা হয়। এই ঘটনায় তিনি সহ আরও ৪ জন আহত হন। এ ব্যাপারে হাটের ইজারাদার জেলা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু জানান, বাংলা ১৪২৯ সনের জন্য সরকারি দরপত্রের সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে আমি মহাস্থানহাট  ৪ কোটি ৩১ লাখ টাকায় ইজারা গ্রহণ করি।  আমার হাটপরিচালনা কমিটির সদস্যরা হাটে খাজনা আদায়করা কালে তারা কয়েক দফা হামলা করে হাটের পরিবেশ নষ্ট, আমার আর্থিক ক্ষতি ও সম্মান হানির চেষ্টা করে। আবার ২য় দফায় বুধবার হাটচলাকালে তারা আমাদের হাটকমিটির লোকজনকে মারপিট করে। তাদের বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১০মে মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সহকারি কমিশানার (ভূমি) মহাস্থানহাটে গিয়ে সরকারি বিধি অনুযায়ী খাজনা আদায়ের মূল্য তালিকা হাটের দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শনপূর্বক স্থায়ী ভাবে প্রদর্শনের জন্য খুঁটির দ্বারা স্থাপন করেন। 
উক্ত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে কুলসুম সম্পা বলেন, মহাস্থানহাট শিবগঞ্জ উপজেলার একটি বৃহৎ হাট। এ হাট থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পেয়ে থাকে। হাটের সুনাম নষ্ট ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। হাটে আগত ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের দাবীর প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার, জনপ্রতিনিধি ও  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর  উপস্থিতিতে হাটের বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে খাজনা আদায়ের মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীকে হাটের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন 

 

উপরে