নামুজায় আলো সঞ্চয় ও ঋনদান সমিতির গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরৎ পেতে ভোগান্তি!

বগুড়া সদর উপজেলার নামুজা বন্দরে আলো সঞ্চয় ও ঋনদান সমিতির গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত পেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে শতশত গ্রাহকে। জানা যায়, নামুজা ভান্ডারী পাড়া গ্রামের ইয়াকুব আলীর পুত্র সনজাব হোসেন পরিচালক ও ধলু’র পুত্র মাসুদ রানা সভাপতি কর্তৃক পরিচালিত আলো সঞ্চয় ও ঋনদান সমবায় সমিতি লিঃ।
উক্ত সমিতির নামে অগণিত গ্রাহকের কাছে থেকে আমানত নিয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। গ্রাহকেরা টাকা ফেরৎ পেতে পহাতে হচ্ছে নানা ধরণের ভোগান্তি।
অভিযোগ ও অনুসন্ধানে জানা যায়, নামুজা ভান্ডারী পাড়া গ্রামের নুরুল হক সরদারের পুত্র তোফাজ্জল হোসেনের নিকট থেকে আমানত হিসাবে গ্রহন করেছেন ১০ লক্ষ টাকা ও বগুড়া মালতীনগর এলাকার আব্দর রহিম মন্ডলের পুত্র শফিউদ্দিন মন্ডলের নিকট থেকে একই ভাবে সমিতির রশিদমূলে গ্রহন করেছেন ২৩ লক্ষ টাকা।
বর্তমানে কিছু আমানতকারীরা তাদের প্রয়োজনে উক্ত সমিতির অফিসে তাদের রক্ষিত টাকা ফেরৎ নিতে গেলে পরিচালক সনজাব হোসেন ও সভাপতি মাসুদ রানা স্বাক্ষরিত দেওয়া হয় ব্যাংক চেক।
আমানতকারী গ্রাহকেরা তাদের টাকা ব্যাংকে চেক দিয়ে উঠাতে গেলে একাউন্টে টাকা না থাকায় ব্যাংক কতৃপক্ষ তাদের চেক ডিসঅনার সার্টিফিকেট প্রদান করেন। এসব গ্রাহকেরা আদালতে মামলা করতে গেলে এ্যাডভোকেট কর্তৃক তাদের নামে নোটিশ প্রদান করা হলে তারা সেটাও রিসিফ করে না।
১৬ জুন আলো সমিটির পরিচালক সনজাব হোসেন ও সভাপতি মাসুদ রানার ব্যক্তিগত সেলফোনে ডায়াল করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আমানতের সময়সীমা অতিক্রম হওয়ার পরেও গ্রাহকদের টাকা যথা সময়ে ফেরত না দিয়ে কতৃপক্ষ আত্মগোপন করে।
ফলে, প্রতিদিন অসংখ্য গ্রাহক তাদের জমাকৃত টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য সমিতির অফিসে ধরনা দিচ্ছে। কিন্তু কেউ জানেনা আদৌও তাদের টাকা ফেরত পাবে কি না। উক্ত সমিতির আমানত গ্রাহকরা উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
সবমিলিয়ে সমিতির আমানতের টাকা ফেরৎ পেতে ভোগান্তি, তাই সরকারি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহন।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন