প্রকাশিত : ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০১:২০

মান্দায় ‘ওয়াটার সাপ্লাই’ নামের একটি ভূয়া এনজিও সিলগালা

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি :
মান্দায় ‘ওয়াটার সাপ্লাই’ নামের 
একটি ভূয়া এনজিও সিলগালা

নওগাঁর মান্দায় পানি সাপ্লাইয়ের প্রলোভন দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভূয়া একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও সরকারি’ লগো ব্যবহার করার অভিযোগে ‘ওয়াটার সাপ্লাই কোম্পানি লিঃ’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে সংস্থাটির সাইনবোর্ড ও নথিপত্র।  
এসময় ২২ জন গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরতসহ মুচলেকা দিয়ে এ যাত্রা রক্ষা পান প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা। আজ বুধবার বিকেলে উপজেলার সাবাই বাজারের অদূরে পানিয়াল আদর্শ মহাবিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, পানিয়াল গ্রামের নজরুল ইসলামের বাসায় প্রায় তিন মাস আগে হঠাৎ করেই ‘ওয়াটার সাপ্লাই কোম্পানি লিঃ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়। ওই প্রতিষ্ঠানে স্থানীয়ভাবে ছয়জন কর্মী নিয়োগ দেন সংশ্লিষ্টরা। এরপর নিয়োগপ্রাপ্তরা তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে গ্রাহক সংগ্রহের কাজ শুরু করেন। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, এলাকার লোকজনকে ১৮ হাজার টাকার বিনিময়ে সাবমারসেবল, ট্যাঙ্কিসহ পানি সরবরাহের যাবতীয় কাজ করে দেওয়ার প্রলোভন দেন সংস্থাটির লোকজন। এরই মধ্যে বেশকিছু গ্রাহকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন তাঁরা। শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানের এসব কার্যকলাপে সন্দেহের সৃষ্টি করে।
তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের চন্দ্রকোলা গ্রামের বাসিন্দা লোকমান হোসেন বলেন, ‘পানি সাপ্লাইয়ের যাবতীয় কাজ করে দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে আমার কাছ থেকে ১৭ হাজার ৩০০ টাকা নেন সংস্থার এক মাঠকর্মী। এভাবে আমার গ্রামের আরও কয়েকজনের কাছ একইভাবে টাকা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুই মাস পেরিয়ে গেলেও আমাদের কাজগুলো করে দেননি তাঁরা।’
তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মখলেছুর রহমান কামরুল বলেন, ‘পানিয়াল গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম পানি সাপ্লাইয়ের নামে লোকজনের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন এমনি আমার জানা ছিল না। তবে মঙ্গলবার আমার দপ্তরে নিবন্ধন ছাড়াই একটি কাগজ দাখিল করেন তিনি। যা দেখে আমার মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। খোঁজখবর নেওয়ার আগেই বুধবার বিকেলে ইউএনও মহোদয় অভিযান দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দিয়েছেন।’    
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংস্থাটির কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা তাৎক্ষনিকভাবে ফেরতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 
ইউএনও আরও বলেন, অভিযানের সময় সংস্থাটির সাইনবোর্ড ও নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে। ভবিষ্যতের এ ধরণের কর্মকাণ্ডে না জড়ানোর শর্তে মুচলেকা নিয়ে অভিযুক্ত নজরুল ইসলামকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

  দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

 

উপরে