প্রকাশিত : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:৩১

বগুড়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে যুবক খুন

ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় প্রকাশ্য
দিবালোকে যুবক খুন

বগুড়ার ভাটকান্দি এলাকায় হোটেলে খেতে গিয়ে ওয়াজেদ হোসেন ঝন্টু নামে এক টাইলসমিস্ত্রী খুন হয়েছে। শনিবার পৌণে ৯টার দিকে ভাটকান্দি ব্রিজের পূর্বপাশ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে  বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় আয়নাল নামে এক যুবক আটক রয়েছে।

৩০ বছরের ঝন্টু ভাটকান্দি পশ্চিম পাড়া এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে। তিনি টাইলস মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতেন। আয়নাল একই এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে ঝন্টুসহ তিনজন এলাকার হোটেলে যান খিচুড়ি খেতে। এ দুজনের একজনের নাম মমিন। তারা তিনজনেই এক সাথে টাইলসের কাজ করেন। খিচুড়ি খেতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে কোনো বিষয়ে দ্বন্দ্বে ঝন্টুর ওপর হামলা করে। ধারালো কিছু দিয়ে কুপিয়ে ঝণ্টু হত্যা করা হয়।

হোটেলের মালিক মানিক মিয়া বলেন, ওরা তিন জন এসে খিচুড়ি খেতে বসে। কিছুক্ষণ পর পানি চায় তারা। পানি দেয়ার পরপরই ওরা হামলা চালায় ঝন্টুর ওপর। তখন ভয়ে তারা সরে যায়। কিন্তু কি দিয়ে মারা হয়েছে তা দেখতে পারেননি তিনি।

ঝন্টুর বাবা আফজাল হোসেন বলেন, সকালে মমিন এসে তার ছেলেকে ডেকে নিয়ে যায়। ওরা একসাথে টাইলসের কাজও করে। হোটেলে বসে ছেলের সাথে ওরা খেতে বসে। তিনি তখন ওই এলাকায় ছিলেন। এর কিছু পরে ঝন্টুকে দা দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এ সময় আরও কয়েক জন হোটেলে ঢুকে তার ছেলেকে কুপিয়ে চলে যায়। কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার জানায় ঝন্টু মারা গেছে।
আফজাল হোসেন আরও বলেন, প্রায় ৯ বছর আগে তার ভাই শাহীনকে বালু ব্যবসায় নিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার মূল হোতা মিঠু, রহমান, মাসুদ এরাই তার ছেলের হত্যায় জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মাহমুদ হাসান। তিনি জানান, সকালে হোটেলে ঝন্টুর সাথে তারাও নাসতা খাওয়ার জন্য হোটেলে এসেছিল। এরপর খাওয়া চলা অবস্থায় তাকে কুপিয়ে হামলা করা হয়। পরে স্বজনেরা ঝন্টুকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। পরে স্থানীয়রা আয়নাল নামে এক যুবককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। তাকে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
মাহমুদ হাসান বলেন, হত্যাকাণ্ডে পূর্ব শত্রুতার জের রয়েছে। এরা সবাই একসাথে কাজ করে। আবার এদের মধ্যে বালু ব্যবসাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝামেলাও আছে। মাছ ধরার কথা উঠলেও কোন জলাশয় থেকে আর কবে মাছ ধরেছে এমন ঘটনা জানা যায়নি।

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে