প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২২:১৭

কাউনিয়ায় রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সোনালী ফসল উৎপাদনের কারিগরা মাঠে কাজ করে

সারওয়ার আলম মুকুল, কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ
কাউনিয়ায় রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে
সোনালী ফসল উৎপাদনের কারিগরা মাঠে কাজ করে

রংপুরের কাউনিয়ায় রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশের মানুষের খাদ্য যোগান দিতে মাঠে কাজ করছেন সোনালী ফসল উৎপাদনের কারিগররা। কারনা কালিন সেই সক্ষমতা দেখিয়েছেন আমাদের দেশের কৃষক। সেই মানুষ গুলোকে সম্মান দেয়ার সময় এসেছে।
সরেজমিনে উপজেলা বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে বিশ্ব যখন খাদ্য সংকট নয়ে দিশেহারা তখনও রংপুরের
কাউনিয়ায় সোনালী ফসলের কারিগররা দিনভর সবুজ ঘেঁরা মাঠেই কাজ করছেন। টেপামধুপুর চরগনাই
গ্রামের কৃষক দুদু মিয়া গর্বের সাথে বললেন হামরা গরীব মানুষ, করোনা হোক আর যাই হোক প্যাটোৎ হামাক 
ভাত দেওয়া নাগে, তাই নিজের জমিত ও অন্যের জমিনতও কাজ করি। গদাই গ্রামের কৃষক আলামিন জানান, 
এ্যালা জামরা খাদ্য নিয়া চিন্তা করে তাদের খাবার যোগান দিতেই হ্যামরা মাঠত কাজ করা নাগে। যোগান 
দিতেই হ্যামরা মাঠত কাজ করা নাগে। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা শষ্য ভান্ডার নামে খ্যাত। এই 
উপজেলায় সবচেয়ে বেশী উৎপাদন হয় ধান, পাট, ভুট্টা, বাদাম, আলু, মরিচসহ নানা ধরনের সবজি। 
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্র জানায় চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় আমন চাষ হয়েছে ১১৪৫০ হেক্টর জমিতে 
আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার মেট্রিক টন যা উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যত্র
 রফতানি হয়। পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের কৃষক আনোয়ারুল জানান, সামনে আলু চাষ করবো কিন্তু সারের সংকট
দেখা দিয়েছে। এ ছারা সারের দাম ও বাড়ছে ফলে উৎপাদন কম হতে পারে। গদাই গ্রামে সোনালী আঁশ
ধোয়ার সময় কথা হয় মেনেকা বালার সাথে তিনি জানান জীবন বাঁজি রেখে সারাদিন মাঠে কাজ করি কিন্তু
 আমরা কোন সম্মান পাই না। উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া জানান, আমাদের খাদ্য
 উৎপাদারের কারিগর কৃষকদের সম্মান দেখানো সকলেই উচিৎ। কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহনাজ পারভীন
 জানান সারের তেমন সমস্যা নাই, আবওহাওয়া অনুকুল রয়েছে, বড় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে 
উপজেলায় রোপা আমনের বাম্পারফলনের আশা করছেন। কৃষকদের যে কোন সমস্যায় সমাধান সহ পরামর্শ 
দেয়া হয়।

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

 

উপরে