বগুড়ার গাবতলীতে দুই ইউপি সদস্য সমর্থকদের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫জন গুরুতর আহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাত ৯টায় উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের রাণীরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 
জানা গেছে, বিগত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে গাবতলীর মহিষাবান ইউনিয়ন রাণীরপাড়া গ্রামে ৫নং ওয়ার্ডের নির্বাচন নিয়ে ইউপি সদস্য প্রার্থী হাফিজার রহমান সুলতান ও সুলতান আহম্মেদ এর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। তবে ভোটে সুলতান আহম্মেদ নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গত মঙ্গলবার রাত ৯টায় রাণীরপাড়া গ্রামে ইউপি সদস্য সুলতান আহম্মেদের বাড়ীর সামনে প্রতিপক্ষ হাফিজার রহমান সুলতানের লোকজন অতর্কিতভাবে হামলা চালালে উভয়পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫জন গুরুত্বরভাবে আহত হয়। সুলতান আহম্মেদের পক্ষের আহতরা হলো, আবুল কালাম আজাদ (৬২) ও তার ছেলে ইউপি সদস্য সুলতান মাহমুদ (৩৫), শহীদুল ইসলাম (৩০), সবুজ মিয়া (৩২) ও আপেল মাহমুদ (১৫)। অপরদিকে হাফিজার রহমান সুলতানের পক্ষে হোসেন আলী মন্ডল (৫০) ও তার ছেলে জিকু মন্ডল (২৬), ফজলুর রহমান বুলু (৪০), মজনু প্রামানিক (৩৫), সাজু প্রামানিক (৩০) ও তপু প্রামানিক (২২)। উভয়পক্ষের আহতরা বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আহত ইউপি সদস্য সুলতান আহম্মেদকে দেখতে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান মহিষাবান ইউপি চেয়ারম্যান আ: মজিদ মন্ডল। এ ব্যাপারে গাবতলী মডেল থানার ওসি সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, এ সংক্রান্তে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ হাতে পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে  প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।  

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন