প্রকাশিত : ২১ জানুয়ারী, ২০২৩ ২১:০৪

গোবিন্দগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলন ও বিপণন বন্ধে ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি:
গোবিন্দগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলন ও বিপণন বন্ধে ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু বিভিন্ন জেলায় বিপণন ও পরিবহন বন্ধে ধারাবাহিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে নাগরিক কমিটি।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় নাগরিক কমিটির আহবায়ক এম এ মতিন মোল্লা সাংবাদিক সম্মেলনে বালু উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের নীরবতা ও ব্যর্থতায় চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে কয়েকটি কর্মসূচির ঘোষণা দেন। কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে আগামী ৩০ জানুয়ারি সোমবার দুপুর ১২ টায় মানববন্ধন; ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার মুখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান; ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান ও ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার অনশন। এসময় বিভিন্ন ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক কমিটির যুগ্ন আহবায়ক ও বিশিষ্ট সংবাদিক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন আকন্দ, নাগরিক কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সাপ্তাহিক খোলা হাওয়া পত্রিকার সম্পাদক মো. আনোয়ারুল ইসলাম, বাসদ সভাপতি ও রিপোর্টাস ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির গোবিন্দগঞ্জ শাখার সভাপতি আইয়ুব হোসেন সরকার, কমিউনিস্ট পার্টির গোবিন্দগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মোবারক, প্রভাষক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে এম এ মতিন মোল্লা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলেন- বিগত প্রায় ২ বছর থেকে স্থানীয় প্রশাসনের নীরবতা ও ব্যর্থতায় গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভাসহ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের শতাধিক পয়েন্টে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছে। এসব বালু হাইড্রোলিক ১০ চাকার ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে পরিবহন করা হচ্ছে। পরিবেশ দূষণ সহ গ্রামীণ রাস্তাগুলো ধ্বংস হচ্ছে। বালু উত্তোলনে কাটাখালী নদীর ব্রীজ সংলগ্ন হাওয়াখানা নামক স্থানে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন পিলার হুমকির মুখে। সম্প্রতি বালু পরিবহনে সৃষ্ট দুর্ঘটনায় শিক্ষক রুবেল ও ফল ব্যবসায়ী মিলন সহ ৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া বিগত সময়ে নারী ও শিশু সহ ১০জনকে প্রাণ দিতে হয়েছে। এর প্রতিবাদে নাগরিক কমিটি সহ সংহতি প্রকাশ করা বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন একাধিকবার মানববন্ধ, সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে।
উপস্থিত সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নোত্তরে এম এ মতিন মোল্লা বলেন- বালু বন্ধে প্রশাসনের বিভিন্ন পদক্ষেপকে তিনি আই ওয়াশ বলেন। স্থানীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তিনি সরকার ঘোষিত বালুমহাল চান। তবে এ উপজেলার বালু পাশর্^বর্তী দিনাজপুর, রংপুর, জয়পুরহাট, বগুড়া, শেরপুর, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ জেলায় পরিবহন বন্ধ চান।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন                 

 

উপরে