প্রকাশিত : ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ২১:৪৫

নন্দীগ্রামে মাদরাসা সুপারকে মারধরের অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে

নন্দীগ্রাম(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ
নন্দীগ্রামে মাদরাসা সুপারকে মারধরের অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে

উপনির্বাচনে বগুড়া-৪(নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনে মাদরাসা বন্ধ করে সভাপতি পক্ষে নির্বাচনী কাজ না করায় মাওলানা সাইফুল আলম নামের এক মাদরাসা সুপারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যাড. ইলিয়াছ আলীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠে। তিনি ওই মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি। তবে অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যাড. ইলিয়াছ আলী। নন্দীগ্রাম  উপজেলার সাঁরা দারুস সালাম দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা সাইফুল আলম বলেন, মাদরাসার সভাপতি এ্যাড. ইলিয়াছ আলী (কলার ছড়ি) প্রতীক নিয়ে উপ-নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন। মাদরাসার সভাপতি হওয়ার কারনে তিনি সুপারসহ শিক্ষকদের তার পক্ষে নির্বাচন করতে চাপসৃষ্টি করেন। প্রার্থীর চাপের মুখে সুপারসহ শিক্ষকরা মাদরাসা ছুটির পর নির্বাচনী কাজ করেন। এতেও সন্তষ্টু না হয়ে মাদ্রাসা বন্ধ করে তার পক্ষে নির্বাচনী কাজ করতে বলেন এ্যাড. ইলিয়াছ আলী। তার এ প্রস্তাবে মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা অপারগতা প্রকাশ করেন। এক পর্যায় প্রার্থী ভোটের খরচ করার জন্য এক লাখ টাকা দাবি করেন। তাকে ২০ হাজার টাকাও দেয়া হয়। বুধবার ভোটের দিন সকালে মাদরাসা সুপারকে সঙ্গে নিয়ে প্রার্থীী এ্যাড. ইলিয়াছ আলী মোটর সাইকেলে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। ভোটে হেরে যাচ্ছেন বুঝতে পেরে কৌশলে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সাইফুল আলমকে বগুড়া সদরের নামুজা এলাকায় নিয়ে মারধর করেন। এসময় মুখের দাড়ি টানাটানিসহ গলায় সুন্নতি গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এবিষয়ে এ্যাড. ইলিয়াছ আলী বলেন, আমি অসুস্থ। নির্বাচনের দিন থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। মাদরাসার সুপার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলছে। তাকে মারধর বা দাড়ি টানাটানির কোন ঘটনায় ঘটেনি। মাদরাসার আয় ব্যয়ের হিসাব দিতে না হয় এজন্য নাটক সাজিয়েছেন তিনি।  এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন 

উপরে