প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ০০:০৫

গোবিন্দগঞ্জে স্বামীকে রেখে গোপনে বিয়ে অতঃপর দেনমোহর দাবী

ষ্টাফ রিপোর্টার
গোবিন্দগঞ্জে স্বামীকে রেখে গোপনে বিয়ে অতঃপর দেনমোহর দাবী

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শালমারা ইউনিয়নের শাখাহাতী বালুয়া গ্রামের কাজেম উদ্দিনের ছেলে আবু শাহিন প্রধানের সাথে ইসলামী সরিয়া মোতাবেক রফিকুল ইসলামের মেয়ে লাবনী বেগমের গত ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর একলক্ষ পঞ্চাম হাজার এক টাকা দেন মোহরে দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ঘর সংসার করিয়া আসিতেছিল । লাবনী তার আপন বোনের স্বামীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক থাকায় বিবাহ বিচ্ছেদ হয় প্রথম স্বামীর সাথে। প্রথম সংসারে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় লাবনী। লাবনীর পরিবার অর্থলোভী হওয়ায় তার পরিবার পূর্বের সকল ঘটনা লুকাইয়া রেখে শাহিন প্রধানে সাথে বিবাহ দেয়। ফলে বিয়ের কয়েক বছর পেরিয়ে গেলে সংসারে অসান্তির সৃষ্টি হয় এবং শাহিনের বাড়ী থেকে বেড়িয়ে যায় লাবনী বেগম। কয়েক মাস পেরিয়ে গেলে শাহিন প্রধানে বাড়ীতে লাবনী না ফেরায় কাজী আব্দুল হাদীর নিকট বিয়ের নকল কাবিন নামা তোলার জন্য যায় স্বামী শাহিন প্রধান। কাজী আব্দুল হাদী বিয়ের নকল কাবিন নামা দেই দিচ্ছি বলে ঘুরাইতে থাকে ফলে জেলা রেজিষ্টার বরাবর আবেদন করে শাহিন প্রধান। জেলা রেজিষ্টারের কথায় ও নকল না দিয়ে সময় ক্ষেপন করছে কাজী আব্দুল হাদী। উক্ত ঘটনার পরে আদালতে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেনমোহরের দাবী করে মামলা করে লাবনী বেগম। লাবনীর দ¦ীতিয় স্বামী শাহিন জানান, প্রথম স্বামীর নিকট হতে আশি হাজার টাকা কাবিনের বিপরীতে দুই লক্ষ টাকা আদায় করে সে। সে কারনে কাজীর সাথে সক্ষতা রেখে কাবিন নামা গোপন করে আড়াই লক্ষ টাকা দাবী করে মামলা করেছে। আরো বলেন আমাকে তালাক না করে বর্তমানে কোচাশহর ইউনিয়নের ধারাই কান্দিগ্রামের তাজু কসাইয়ের ছেলে দেলবর কসাইয়ের সাথে ঘর সংসার করছে লাবনী বেগম। এঘটনায় সাংবাদিকরা স্বামীকে তালাক না করে কিভাবে অন্যর সংসার করছে জানার জন্য গেলে লাবনী বেগম পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী শাহিন প্রধান বলেন, অন্যর সংসার করছে আর আমাকে মামলা দিয়ে হয়রানী করছে এর সঠিত তদন্তের মাধ্যমে অর্থলোভী লাবনী,তার পরিবার এবং বর্তমান স¦ামী দেলবরের শাস্তির দাবি করছি।

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে