প্রকাশিত : ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ০০:০২

গাবতলীতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিপিও’র তদন্ত

গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধি
গাবতলীতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতসহ
বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিপিও’র তদন্ত

বগুড়া গাবতলীর ৫২নং মহিষাবান পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারী অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে তদন্ত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। 
জানা গেছে, মহিষাবান পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন অত্র বিদ্যালয়ের ২৪ শতক জমি প্রায় ১৭বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছেন। কিন্তু তিনি ওই জমিতে উৎপাদিত ফসলের কোন অংশ বিদ্যালয়ের কোষাগারে জমা না দিয়ে সমস্ত অর্থ আত্মসাত করে আসছেন। তিনি নিজের ইচ্ছামতো বিদ্যালয়ে আগমন এবং প্রস্থান করেন। তিনি শ্রেণী কক্ষে ঠিক মতো পাঠদান করান না। এছাড়াও শিক্ষক হাজিরা খাতায় সময় মতো স্বাক্ষর করেন না। কয়েক দিনের স্বাক্ষর একদিনে করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১২ ফেব্রুয়ারী/২৩ তারিখে ডিজি অফিস সাত কার্য দিবসের মধ্যে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নিদের্শ দেন বগুড়ার ডিপিও’কে। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে তদন্ত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান চৌধুরী। অভিযোগের তদন্তকালে তিনি অভিযোগকারী, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের কাছ থেকে স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এছাড়াও বিদ্যালয়ের জমি বর্গা চাষীর কাছ থেকেও স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। অভিযোগের তদন্তের বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, এখনও তদন্ত শেষ হয়নি। তদন্ত সম্পন্ন করে উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। তদন্তের স্বার্থে এখন কোন তথ্য প্রকাশ করা হবে না। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সরকারী সম্পত্তি বর্গা দেয়া যাবে না। তবে ম্যানেজিং কমিটি চাইলে সংরক্ষন করতে পারবে। এদিকে বিদ্যালয়ের জমি বর্গাচাষী এবং স্থানীয় একাধিকসূত্র বলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন বিদ্যালয়ের জমি বর্গা দিয়ে অর্থ আত্মসাত করেছেন। এছাড়াও তিনি বিদ্যালয়ে ঠিকমতো আসেন না এবং পাঠদান করান না। 

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

 

উপরে