প্রকাশিত : ১৮ মার্চ, ২০২৩ ২৩:৪৮

ধুনটে সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে সেচ সংযোগ প্রদান

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি:
ধুনটে সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা 
করে সেচ সংযোগ প্রদান

বগুড়ার ধুনটে সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে ঘুষের বিনিময়ে পাশাপাশি একাধিক বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের সংযোগ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে গোপালনগর ইউনিয়নের সাতপাকিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুস শুকুর আলী অবৈধ ওই সেচ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও লাইসেন্স বাতিলের জন্য সেচ কমিটির সভাপতি, ধুনট ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানাগেছে, বর্তমান সরকার কৃষি ক্ষেত্রে সেচ পাম্পসহ ব্যাপক ভর্তুকি দিয়ে আসছে। এই ভর্তুকির আওতায় গোপালনগর ইউনিয়নের সাতপাকিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুস শুকুর আলী চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের বিষ্ণপুর মৌজার নিজ জমিতে একটি সেচ পাম্প স্থাপন করেন। এরপর তিনি ২০২০-২১ অর্থ বছরে ধুনট উপজেলা সেচ কমিটির লাইসেন্সের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের সংযোগ পেয়ে প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে পানি সেচ দিয়ে আসছেন।

কিন্তু গত এক মাস আগে সাতপাকিয়া গ্রামের মৃত বেলায়েত খানের ছেলে আহসান খান ওই কৃষক আব্দুস শুকুর আলীর সেচ পাম্পের মাত্র ৩০ ফুটের মধ্যেই অবৈধভাবে লাইসেন্স পেয়ে আরেকটি বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প স্থাপন করেছেন এবং একই স্কিমের মধ্যে পানি সেচ দিয়ে আসছে।

তবে কোন সেচ পাম্পের জন্য লাইসেন্স ও বৈদ্যুতিক সংযোগ পেতে পাশ^বর্তী সেচ পাম্প থেকে দূরত্ব ৮২০ ফুট এবং আবেদনকারী জমির দলিল ও খাজনা-খারিজ থাকার নীতিমালা রয়েছে।

কিন্তু এসব নীতিমালা উপেক্ষা করে কিভাবে মাত্র ৩০ ফুটের মধ্যে পাশাপাশি আরেকটি বৈদ্যুতিক পাম্পের সংযোগ দেয়া হলো- এবিষয়ে ধুনট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম মাহবুব জিয়া বলেন, সেচ সংযোগ প্রদানের জন্য প্রথমে ধুনট উপজেলা সেচ কমিটির কাছে আবেদন করতে হয়। ওই কমিটির সিদ্ধান্তেই লাইসেন্স পান তারা। তবে আবেদনের পর তদন্ত করে সেটা মিটিংএ পাস হয়। তবে সেখানে কোন অনিয়ম হলে তদন্ত করে সেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।

এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএডিসি অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা তদন্ত করে উপজেলা সেচ কমিটির কাছে প্রতিবেদন জমা দেই। কিন্তু প্রতিবেদন কম্পিউটারে করার সময় নাম পরিবর্তন করা হয়।

এবিষয়ে ধুনট সেচ কমিটির সভাপতি ও ধুনট ইউএনও সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, যদি কেউ সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে সেচ সংযোগ পেয়ে থাকেন, তাহলে তার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে