শেরপুর পৌরসভার বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন

দীর্ঘ দিনের প্রায় দেড় কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো)।
সোমবার (২০মার্চ) সকালে নেসকোর রাজশাহী বিভাগের রেভিনিউ অ্যাসুরেন্স বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো: শাখাওয়াত হোসেন তালুকদারের নেতৃত্বাধীন অভিযানে এই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এসময় নেসকোর শেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আব্দুল জলিল, বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ ও শেরপুর থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নেসকোর অফিস সূত্রে জান গেছে, বর্তমানে শেরপুর পৌরসভায় প্রতি মাসে প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘদিন হলো তারা কোন বিল প্রদান করেননা, এ পর্যন্ত পৌরসভার কাছে ১ কোটি ৩৪ লক্ষ ৬০ হাজার ৯ শত ৬১ টাকা বকেয়া রয়েছে। বার বার নোটিশ দিয়েও তাদের সাড়া না পাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
শেরপুরের নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আব্দুল জলিল বলেন, আমরা গত এক বছর ধরে পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দিচ্ছি। বিভিন্ন সময় তাদেরকে মৌখিকভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা বকেয়া পরিশোধের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেন নাই। তাই বাধ্য হয়ে আমাদেরকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।
এ বিষয়ে শেরপুর পৌরসভার মেয়র জানে আলম খোকা বলেন, এ বিষয়ে ইতোমধ্যে নেসকো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। অতি দ্রুত পুনঃসংযোগের ব্যবস্থা করা হবে।
পৌর বাসিন্দারা বলছেন, পৌরকর্তৃপক্ষ প্রতিবছর ট্রেড লাইসেন্স ও হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করছে। আমরা সেগুলো নিয়মিত পরিশোধ করেও নূন্যতম নাগরিক সুবিধা পাইনা। এদিকে হঠাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় অফিসের কার্যক্রম থেমে গেছে। এতে বিভিন্ন নিবন্ধন সহ অন্যান্য নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন তারা। অন্যদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় রাতে শহরে অপরাধমূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি পাবে এবং চলাচলও অনিরাপদ হবে বলে আশঙ্কায় রয়েছেন তারা।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন