প্রকাশিত : ২৪ মার্চ, ২০২৩ ২৩:২৯

বগুড়ায় আলুর বাম্পার ফলন, হাসি ফুঁটেছে কৃষকের মুখে

ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় আলুর বাম্পার ফলন, 
হাসি ফুঁটেছে কৃষকের মুখে

বগুড়ায় বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এইবারও আলু চাষে সঠিক সময়ে পরিচর্যাসহ ছত্রাক নাশক ব্যবহারে সদর, শাজাহানপুর, কাহালু, শিবগঞ্জ, নন্দীগ্রামসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়াও কৃষি বিভাগসহ বিভিন্ন স্থানের প্রশিক্ষণও বয়ে এনেছে ইতিবাচক সুফল। আর ভালো মুনাফায় প্রশান্তির হাসি ফুঁটেছে আলুচাষীদের মুখে। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়ার অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মুশিদুল হক জানান, এই বছর আলু চাষে অত্যন্ত উপর্যুক্ত আবহাওয়া ছিলো। বিগত সময়ে প্রচুর কুয়াশা ও আবহাওয়াতে আদ্রতা বেশি থাকায় আলুর নাভিধ্বসা রোগে প্রান্তিক কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল তবে এবছর কৃষকেরা শুরু থেকে তাদের জমিতে সঠিক ছত্রাক নাশক ব্যবহার নিশ্চিত করেছিল। তাই এইবার আলুর এই রোগ খুব একটা দেখা যায়নি তাই আলুচাষে কৃষকেরা উল্লেখযোগ্য মুনাফা অর্জন করেছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার আলুচাষী মোতাহার হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, শাহজালাল এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজের ডেল্টাসিল ৭২ডব্লিউপি এবং শাহজেব ৮০ ডব্লিউপি ব্যবহারে ৪০ বিঘা জমিতে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। একই পন্থায় আলুচাষে মুনাফার মুখ দেখেছেন শাজাহানপুর উপজেলার আরেক তরুণ আলুচাষী শামিমুজ্জামান রনি।
তিনি জানান, আলুর ভালো ফলনের প্রত্যাশা সব সময়ই থাকে। তবে শেষ সময়ে বিভিন্ন ক্ষতিকারক রোগবালায় আক্রমণ হয়। তবে এইবছর কৃষির সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরামর্শে তিনিসহ তার আশেপাশের কয়েকজন আলুচাষী ডেল্টাসিল ৭২ডব্লিউপি এবং শাহ্জেব ৮০ ডব্লিউপি ব্যবহার করে ভালো ফলন পেয়েছে। 
মহাস্থান বাজারের সার ও কীটনাশকের পরিবেশক মেসার্স জুনায়েদ ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী শাহ আলম ও টেঙ্গামাগুর এলাকার ব্যবসায়ী মেসার্স আর আর ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী শামিমউজ্জামান রনির সাথে এই বিষয়ে কথা বললে তারা জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানে একাধিক ব্রান্ডের নামিদামি ছত্রাক নাশক রাখা হয়। এবার শুরু থেকেই তাদের প্রতিষ্ঠানে শাহজালাল এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজের ডেন্টাসিল ও শাহজেব ব্রান্ডের ব্যাপক চাহিদা ছিল। আলুর ফলন ভালো হওয়ায় এই দুই প্রোডাক্ট শুরু থেকেই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে এবং সাধারণ কৃষকেরাও উপকৃত হয়েছেন। 
আর আলুর এই বাম্পার ফলনে সঠিক ও মানসম্মত ছত্রাক নাশক ব্যবহারে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সঠিক তদারকি ও সহযোগীতা করেছে।  সঠিক সময়ে জমির যত্ন নেওয়াই এর নেপথ্যে মনে করছেন কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্টরা।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে