জমি দখলকে কেন্দ্র করে মারপিট, ভাংচুর, নবজাতক ও শিশু সহ উভয় পক্ষের আহত ৩০

বগুড়ার ধুনটে জমি দখলকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় নবজাতক, শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ সহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রবিবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় ধুনটের গোপালনগর ইউনিয়নের মহিশুরা দক্ষিণ পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত মঞ্জুয়ারা খাতুনের কোলে থাকা ১৫ দিনের নবজাতকও আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আহতরা জানান, পুণরায় আক্রমনের ভয়ে তারা ধুনট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি না হয়ে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
আহতরা হলেন, আব্দুর রাজ্জাক (৩৫), মঞ্জুয়ারা খাতুন (২৮), জিম আক্তার (১০), জাবেদ আলী (৮০), জেল হোসেন (৭০), আবু সাইদ (৬১), ওজায়ের (২২), আদরী বেগম (৬০), জয়ফুল, জাহেদা খাতুন (৪৫), আফরোজা বেগম (৪১), নাজমা খাতুন (২৫), জনতা খাতুন (২১), জুলেখা খাতুন (২৭), আসাদুল ইসলাম (৩১), নুর বানু (৪৬), ফাতেমা খাতুন (৪৬)।
জানা যায়, মহিশুরা গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে আবুল কালাম, আব্দুল বাসেদ, খালেক, মালেক, মান্নান ও আলী আকবরের ছেলে হোসেন একই গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের চার বিঘা জমি জোরপূর্বক দখল করে আসছিলো। জমির দলিল ও খাজনা খারিজ মূলে রবিবার বিকেল ৩টায় আব্দুর রাজ্জাক জমিতে গেলে কালাম, আব্দুল বাসেদ, খালেক, মালেক, মান্নান, হোসেনের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ৫০/৬০ জন হামলা করে। এসময় আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ির লোকজন এগিয়ে গেলে তাদরেকেও মারপিট করে। তখন আব্দুর রাজ্জাক সহ আত্নীয় স্বজন দৌড়ে বাড়িতে পালালে আক্রমণকারীরা বাড়ির ভেতরে ঢুকে এলোপাথারি ভাবে মারপিট করে। এতে মাহিলা, নবজাতক, শিশু, বৃদ্ধ সহ ২০ জন আহত হয়। এসময় বাড়ি ঘর ও আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
অন্যদিকে অভিযুক্ত হোসেন আলী জানান, আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি যা আমি বিশ বছর যাবৎ ভোগ দখল করে আসছি। রবিবার হঠাৎ দলবল নিয়ে রাজ্জাক ও তার পরিবারের লোকজন আমার জমির কাঁচা ধান কাটতে শুরু করে। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে আমাদের মারপিট করে। এতে লোকমান হোসেন (৪৫), মালেকা বেগম (৪২) ও আমি সহ প্রায় ৮/১০ জন আহত হই। আহতরা ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রবিউল ইসলাম জানান, জমিতে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা জানতে পেরে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এ ঘটনায় হোসেন আলী বাদি হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত চলছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন