কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কাশিয়াবাড়ির একাত্তরের বধ্যভূমি!

বধ্য ভূমিটি বর্তমানে গো- ছাগল চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। এটি গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে। তবে স্মৃতিফলকে লেখা ‘পশ্চিম রামচন্দ্রপুর বধ্যভূমি ৭১’।
২৯ এপ্রিল দুপুরে গিয়ে দেখা গেছে, বধ্যভূমিটির বেহাল দশা। তিন দিকে গাছপালা ও ঝোপঝাড়। তিন ফুট উচ্চতার সীমানা প্রাচীর, গেট থাকলে ও নেই রক্ষনাবেক্ষনের কোন ব্যাবস্থা । ভেতরে যত্রতত্র মলমূত্র ও ময়লা-আবর্জনা; চারদিক দুর্গন্ধময়।
প্রাচীরের ভেতরে বেঁধে রাখা হয়েছে গবাদিপশু। স্মৃতিস্তম্ভের অর্ধেক মেঝে পাকা হলেও সেখান থেকে হারিয়ে গেছে ইট।
জানা গেছে, ২০০৫ সালে এ বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। পরে গেট নির্মান সংস্কার ও রং করা হয়। রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ না থাকায় । সামান্য বৃষ্টি হলেই বধ্যভূমির ভেতরে পানি জমে থাকে। পানি নিষ্কাশনে প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ নেই।
পশ্চিম রামচন্দ্রপুর গ্রামের বেশ কয়েকজন মানবজমিনকে বলেন, স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে ফুল দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ এই বধ্য ভুমি।
পলাশবাড়ী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার আবদুর রহমান জানান, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনারা বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজনকে ধরে এখানে আনে। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
তিনি আরো বলেন তালা ভেঙ্গে যারা গরু ছাগল বেধে রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করা সময়ের দাবী।তবে বধ্যভুমি সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যেই টেন্ডার হয়ে। ১৫ শতক জমি অধিগ্রহণ কাজ চলমান রয়েছে ।কর্তৃপক্ষ জায়গাটি সরেজমিনে তদন্ত করেছেন।শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে।
কিশোরগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও পলাশবাড়ী উপজেলা জামায়াতে আমির আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন বধ্য ভুমিতে গরু ছাগল বাধার বিষয়টি আমার জানা নেই।
বধ্যভূমিটি গো ছাগল চারন ভুমিতে পরিনত হয়েছে সংরক্ষণে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন গো ছাগল বাধার বিষয়ে আমার জানা নেই।তবে সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান বলেন বধ্য ভুমিকে যারা গো চারন ভুমিতে পরিনত করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন