প্রকাশিত : ৫ মে, ২০২৩ ০২:০৪

গোবিন্দগঞ্জে আগুনে পুড়ল চার পরিবারের ৭টি ঘর

ষ্টাফ রিপোর্টার
গোবিন্দগঞ্জে আগুনে পুড়ল চার পরিবারের ৭টি ঘর

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ৪ পরিবারের ৭টি ঘরের সম্পূর্ণ আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে ভষ্মিভূত হয়েছে। এ ঘটনায় নগদ টাকা সহ আসবাবপত্র পুড়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। তবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে পারেনি।
বুধবার (৩ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার তালুককানুপুর ইউপির উত্তরপাড়া গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে শুকুর উদ্দিন চেংটু, তার দুই ছেলে হেলাল, বেলাল ও ভাতিজী বেগমের ৭টি ঘর পুড়ে যায়। এ ঘটনায় ৩টি ঘরে রক্ষিত নগদ প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা, ২টি ফ্রিজ ও আসবাবপত্র সহ বসতঘর সম্পূর্ণ ভষ্মিভূত হয়।
জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা রাতে পাশের বাড়িতে ঝগড়া হয়। তা দেখতে ঘরে তালা দিয়ে সবাই সেখানে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে বসত ঘরে আগুনের কুণ্ডলী দেখতে পায়। যা নিমিষেই ৭টি ঘরকে ছাই করে ফেলে। ওই ঘরগুলোতে একাধিক বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকায় প্রতিবেশিরা আগুন নেভাতে তেমন কোনো ভূমিকা রাখেনি। খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট পৌঁছে ধ্বংসস্তুপের আগুন নিভিয়ে ফেলে। 
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ শেখ হোদা জানান, আমার পাশের বাড়ির শুকুর উদ্দিন, তার দুই ছেলে ও ভাতিজীর ৭টি ঘরের সবটাই আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে। ঘর দেওয়া কংক্রিটের খুঁটি ও দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া চালের টিন ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই। অত্যন্ত দরিদ্র ও অসহায় চারটি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেল। পরিবার নিয়ে রাত কাটানোর কোনো উপায় নেই তাদের।  উপস্থিত ব্যক্তিরা জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট ছাড়া আগুন লাগার অন্য কারণগুলো নিশ্চিত করতে তদন্তের প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকালে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ হোসেন চারটি পরিবারের প্রত্যেকটি পরিবারকে নগদ ১০ (দশ) হাজার টাকা, ৩০ কেজি চাল, কম্বল, শাড়ি/লুঙ্গি, কাঁচাবাজার, তেল, ডাল, চিনি, লবণ ইত্যাদি সহায়তা প্রদান করেন। এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিন্দার আলী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ইউপি সদস্য ও গ্রামবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

 

 

উপরে