প্রকাশিত : ৯ মে, ২০২৩ ২২:৪০

ক্ষেতলালে চাকরি দেওয়ার ফাঁদে অপহরন আটক ৩

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট)প্রতিনিধিঃ
ক্ষেতলালে চাকরি দেওয়ার ফাঁদে অপহরন আটক ৩

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ফেসবুকের পরিচয়ে কলেজ ছাত্রকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভণে ডেকে এনে মুক্তিপন দাবি অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় উপজেলার জিয়াপুর গ্রামের সন্ন্যাসতলী নামক স্থানে স্থানীয় জনগণ আটক করে তিন প্রতারক চক্রের সদস্যকে পুলিশে দেয়।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়,ক্ষেতলাল পৌর এলাকার মালিপাড়া মহল্লার রেজাউলে ছেলে একরাম (৩৭)কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয় সাহাজাদপুর উপজেলার রেশমবাড়ী গ্রামে সাইফুল ইসলামের ছেলে কলেজছাত্র আমির হোসেন (২২)এর সাথে। আমির হোসেনকে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের বেসামরিক চাকরি দেওয়ার নামে ডেকে আনেন একরাম সহ চার সহযোগী। ওই কলেজছাত্র আমির হোসেনকে কৌশলে সিরাজগঞ্জ থেকে জয়পুরহাটের নতুন হাটে নিয়ে আসেন,সেখান থেকে তার চার সহযোগী অটো ভ্যান যোগে বিভিন্ন এলকায় ঘুরে বিকাল ৪টায় ক্ষেতলাল উপজেলার সন্ন্যাসতলী এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে তাকে জিম্মি করে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তার পরিবারে নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করে।ঘটনাটি তার পরিবারকে জানালে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ওই চক্রকে ৫১হাজার টাকার প্রদান করেন। চক্রের সদস্যরা টাকা পাওয়ার পরে আমির হোসেনকে এক স্থানে থেকে অন্য স্থানে ভ্যান যোগে নিয়ে যাওয়ার পথে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি দেখে ভ্যান থেকে লাফিয়ে পরে ঘটনাটি স্থানীয় জনগণকে জানায়। চক্রের সদস্যরা ভ্যান থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা ওই চক্রের ৩ জনকে আটক করে বাঁকী ২জন পালিয়ে যায়।আটককৃতরা হলেন,উপজেলার ধনতলা গ্রামের তোজাম আকন্দের ছেলে পলাশ আকন্দ (২২),পৌর এলাকার জালিয়াপাড়া আমিনুর রহমানের ছেলে রানা (২৩)।
এবিষয়ে মামুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন,স্থানীয় জনগণ তাদেরকে আটক করে আমাকে খবর দিলে ঘটনা স্থলে গ্রাম পুলিশে পাঠিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয় পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা থানায় নিয়ে যায়।
ক্ষেতলাল থানার অফিসার্স ইনচার্জ রাজিবুল ইসলাম বলেন,খবর পেয়ে ঘনটাস্থল থেকে ভুক্তভোগী প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে থানা নিয়ে আসা হয়। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

 

উপরে