প্রকাশিত : ৭ জুন, ২০২৩ ২২:২২

পুলিশের সহযোগিতায় বগুড়ায় ইউএনও পরিচয়ে অভিনব প্রতারণা

ষ্টাফ রিপোর্টার
পুলিশের সহযোগিতায় বগুড়ায়
 ইউএনও পরিচয়ে অভিনব প্রতারণা

বগুড়া সদরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পরিচয়ে পুলিশের সহযোগিতায় দুই হোটেল মালিকের থেকে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকাল ৯ টার দিকে বগুড়া শহরের উপশহর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে বিকেল পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের হয়নি।

ভুক্তভোগী দুই হোটেল মালিকের নাম শাহিন শেখ ও মো. কাজল। তাঁরা দুইজনই উপশহর বাজারে খাবার হোটেলের ব্যবসা করেন।

শাহিন শেখ জানান, বুধবার সকালে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই জাহাঙ্গীর আলম তাঁর হোটেলে আসেন। এরপর তিনি বলেন, ইউএনও স্যার আপনার সঙ্গে কথা বলবেন। তখন তিনি পুলিশ কর্মকর্তার মুঠোফোনে কথা বলেন। এই সময় ইউএনও পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি শাহিন শেখের নম্বর নেয় ও কল দেয়।

মুঠোফোনে ইউএনও পরিচয়দানকারী ব্যক্তি বলেন, সরকার থেকে নতুন নিয়ম হয়েছে, এজন্য তোমাকে ২০ হাজার টাকা এখনই বিকাশে জমা দিতে হবে। তাছাড়া জাহাঙ্গীরের সাথে ফোর্স ও ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে এখনই তোমার হোটেল তিনমাসের জন্য বন্ধ করে দিব। পরে শাহীন শেখ এত টাকা দিতে পারবেন না জানিয়ে ১০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠিয়ে দেয়।

শাহিন শেখ বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা বলার কারণে বিশ্বাস করে ১০ হাজার টাকা পাঠিয়েছি। পরে দেখি সব প্রতারণা।

আরেক হোটেল ব্যবসায়ী মো. কাজল বলেন, শাহিনের মতো একই কায়দায় আমার কাছে টাকা দাবি করে। পরে ভয় পেয়ে ছয় হাজার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছি। ঘটনা জানার পর পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আর কোন দায়ভার নিচ্ছেন না।

উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সকালে ডিউটি অফিসার এএসআই সাজারুল ইসলাম তাঁকে জানান ইউএনও স্যার ফোন দিয়েছেন, জরুরি প্রয়োজনে কথা বলবেন। পরে ওই নম্বরে কল দিলে ইউএনও পরিচয়ে বলা হয়, অভিযান চালানো হচ্ছে। উপশহরের হোটেল মালিকদের সাথে কথা বলিয়ে দিতে।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ফোনকারীকে ইউএনও ভেবে তিনি হোটেল মালিকদের সঙ্গে কথা বলার ব্যবস্থা করেছেন। পরে জানতে পারেন ওই ফোন ইউএনওর নয়। তখন তিনি হোটেল মালিকদের সতর্ক করেন।

বগুড়া সদর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাজারুল ইসলাম বলেন, ইউএনও পরিচয়ে বিপদের কথা বলে দ্রæত উপশহরে ফোর্স পাঠাতে বলে প্রতারক। তখন ওই মুঠোফোন নম্বর দিয়ে জাহাঙ্গীরকে পাঠিয়ে দেই। হোটেল মালিক বা টাকা পাঠানোর বিষয়ে আমার জানা ছিল না।

বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফিরোজা পারভীন বলেন, পুলিশরে উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলা হবে। আশাকরি তাঁরা দ্রতই জড়িতদের গ্রেপ্তার করবে। 

উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোস্তাফিজ হাসান বলেন, ভুল বোঝাবুঝিতে এমন হয়েছে। এ ঘটনার বিষয়ে আমিও অবগত ছিলাম না। জড়িতদের শনাক্তে কাজ চলছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে