গাবতলীতে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে

বগুড়া গাবতলীর মাসুন্দি মবজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও গ্রামবাসী গতকাল ১৯শে জুলাই বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গাবতলী উপজেলাধীন সুখানপুকুর ইউনিয়নের মাসুন্দী মবজান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাথমিক বিদ্যালয়। অতীতে উক্ত বিদ্যালয়ে অনেক প্রাক্তন শিক্ষক সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে অবসরে গেছেন। বর্তমানে কর্মরত চার জন শিক্ষকের মধ্যে দুই জন শিক্ষক আসাদুজ্জামান রানা (ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক) ও শারমিন সুলতানা বিথী (সহকারী শিক্ষিকা) তারা পরস্পর স্বামী ও স্ত্রী। তারা প্রতিদিন স্কুলেই বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়ায়। কেউ প্রাইভেট পড়তে না চাইলে তাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করে । শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে পরিক্ষার সময় অতিরিক্ত ফিসের টাকা আদায় করে। এছাড়াও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়মিত কারেন্ট বিল নিয় আদায় করেন। ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনের চালের টিন, লোহার এঙ্গেল এবং শিক্ষার্থীদের বসার বেঞ্চ নিয়ম না মেনে কাউকে না জানিয়ে বিক্রয় করে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ের আগেই স্কুল ছুটি দিয়ে থাকে । বিদ্যালয়ে গ্যাসের চুলা স্থাপন করে প্রতিদিন রান্না করে এবং রান্নার কাজে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে। ঔ দুই শিক্ষক স্বামী স্ত্রী হওয়ায় তাদের দুইটি সন্তানকে প্রতিদিন স্কুলে নিয়ে এসে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বাচ্চাদের সময় দেয়। স্কুলের নির্ধারিত পরিক্ষার সময় প্রশ্নের উত্তর বোর্ডে লিখে দিয়ে শিক্ষার্থীদের অসৎ উপায় অবলম্বন করতে সহযোগিতা করে। শিক্ষার্থীদের সাথে বাজে আচরণ, নোংরা ভাষায় গালাগালি করে ৷ ক্লাস চলাকালীন সময় টিকটক ও ফেসবুক ব্যবহার করেন তারা। এমতাবস্থায় লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ঔ বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উক্ত স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য ও গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। যাহার অনুলিপি দেয়া হয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিসে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রবিউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি চাকুরির কারণে রাজশাহীতে থাকি। ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্য ও শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা ওই দুই শিক্ষকের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি ওই শিক্ষকদের সর্তক করেছি।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন