নন্দীগ্রামে ছুরিকাঘাতে কৃষকলীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতা আহত

বগুড়ার নন্দীগ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগের এক সাবেক নেতা ও মারপিটে কৃষকলীগের এক সাবেক নেতা গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত রোববার দুপুরে উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের চাপিলাপাড়া এলাকায় ছুরিকাঘাত ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। সোমবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। গুরুতর আহত দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন- চাপিলাপাড়া গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে আলামিন হোসেন (৩৪) ও তার ছোট ভাই নুর ইসলাম (৩০)। ছরিকাঘাতে আহত ছাত্রলীগের সাবেক নেতা নুর ইসলামের অবস্থা আশংকাজনক এবং ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাবেক নেতা আলামিনের অবস্থাও গুরুতর বলে জানিয়েছে পরিবার। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, চাপিলাপাড়া মাঠে ৯শতক জমি নিয়ে আলামিন ও নুর ইসলামের সঙ্গে স্থানীয় আশরাফ, সাবেক ইউপি সদস্য খয়বর আলীসহ কয়েকজনের বিরোধ চলছে। আলামিনের বড়ভাই আনোয়ার হোসেন দাবি করেন, ঘটনার দিন তার দুই ভাই কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে ওই জমিতে ধানের চারা রোপন করছিলো। হঠাতই সাবেক ইউপি সদস্য খয়বরের নেতৃত্বে আশরাফ, রেজাউল, জাহাঙ্গীর, নজরুল, আনারসহ ভাড়াটে কিছু সন্ত্রাসী এনে তার দুই ভাইয়ের ওপর হামলা করে। নুর ইসলামকে মারপিট করে মাথার পেছনে ছুরিকাঘাত করেছে। আলামিনের অন্ডকোষে লাথি মারলে সে অজ্ঞান হয়ে মাটিয়ে পরে যায়। এরপর লোহার রড দিয়ে মারপিট করে তার গলায় রশি দিয়ে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে। দুই ভাইকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধারের পর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত থাকায় এখনো থানায় অভিযোগ করা হয়নি বলে জানান আনোয়ার। তবে এ অভিযোগ অস্কীকার করে সাবেক ইউপি সদস্য খয়বর আলী বলেন, তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনার সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে দাবি করেন। এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন