গোবিন্দগঞ্জে বাড়ছে ডেঙ্গু, স্প্রে ছিটাচ্ছেন মেয়র

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পৌরসভা, শিবপুর, কোচাশহর, শালমারা ইউনিয়ন সহ আশপাশের এলাকায় ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গিয়েছে।
গত কয়েকদিনে জ্বরে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৪ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বাধ্য হয়ে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করেছেন মেয়র।
এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তা অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেছেন ডেঙ্গু আতঙ্কে থাকা পৌর বাসিন্দা।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ৪ জন ডেঙ্গু রোগীর তথ্য পাওয়া যায়। তারা সবাই পৌরসভা, শিবপুর, কোচাশহর ও শালমারা ইউনিয়নের বাসিন্দা। সবাই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জাফরিন জাহেদ জিতি বলেন, "গত কয়েকদিনে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ৪ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হয়। তাদের মধ্যে একজন হাসপাতালে, দুইজন বাড়িতে ও অন্যজন বগুড়ায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমাদের হাসপাতালে মাত্র ৫০ টাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়। কোন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হলে তাঁকে মশারির ভিতর রাখার সু-ব্যবস্থা করা হয়। এখানে কোন আইসিইউ ব্যবস্থা নেই। পর্যবেক্ষন করে যদি কোন ডেঙ্গু রোগীর পরিস্থিতি ভালো মনে না হয় তখন তাঁকে বগুড়া কিংবা রংপুরে প্রেরণ করা হয়। শুধুমাত্র চিকিৎসার মাধ্যমে ডেঙ্গু নির্মূল করা সম্ভব নয়। ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। বাড়ীর চারপাশে ও ছাদে ৩ দিনের বেশী পানি জমতে দেওয়া যাবে না। মশা নিধনে নিয়মিত স্প্রে করতে হবে। আমাদের সবাইকে বেশী বেশী নিম গাছ লাগাতে হবে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে বাড়িতে আসি। জ্বর বেশী হলে হাসপাতালে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানতে পারি আমার ডেঙ্গু হয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শে সাথে সাথে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। এখন অনেকটাই ভালো আছি।
এদিকে গোবিন্দগঞ্জে ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার পক্ষ থেকে মশা নিধনে কার্যক্রম শুরু করেছেন মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি। ফগার মেশিনের সাহায্যে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) থেকে তিনি পাড়া-মহল্লায় স্প্রে করার ব্যবস্থা করেছেন।
পৌর মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি বলেন, "গত কয়েক দিন যাবত গোবিন্দগঞ্জে উদ্বেগজনকভাবে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে মশা নিধনে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। বেশ কিছু ফগার মেশিন ও কেমিক্যাল সংগ্রহ করে কার্যক্রম শুরু করেছি। এ জন্য একটি টিম গঠন করছি, যারা প্রত্যেক দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত যেখানে জমে থাকা পানি ও আর্বজনায় ভরা স্থান রয়েছে, সেখানে স্প্রে করবে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।"
তিনি আরও বলেন, "ডেঙ্গু র্নিমূলে আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি। পাশাপাশি পৌরসভার বাসিন্দাদের সচেতন হওয়ার অনুরোধ করছি। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে ডেঙ্গু নির্মূল করা সম্ভব হবে।"
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন