বগুড়ায় দীপঙ্কর চক্রবর্তী হত্যাকাণ্ডের ১৯তম বার্ষিকীতে স্মরণসভা ও স্মৃতিপদক প্রদান
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের(বিএফইউজে) সাবেক সহ-সভাপতি দীপঙ্কর চক্রবর্তী হত্যাকাণ্ডের ১৯তম বার্ষিকীতে স্মরণসভা ও স্মৃতিপদক প্রদান করেছে বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিইউজে)। বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। দীপঙ্কর চক্রবর্তী হত্যাকাণ্ডের বার্ষিকীতে বগুড়ায় কর্মরত সাংবাদিকগণ কালোব্যাজ ধারণ করে কর্মসূচিতে অংশ নেন।
স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, সাংবাদিকতা পেশাকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। বর্তমান সরকার সবসময়ই সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয় গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। সামাজিক নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা গেলেই কেবলমাত্র সাংবাদিকরা ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারবেন। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোন সাংবাদিক যেন হয়রানীর শিকার ও ঝুঁকির মধ্যে না পড়েন এজন্য প্রশাসনের সর্বস্তরে সতর্ক আছেন উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, বর্তমান সরকার সাংবাদিক বান্ধব; একারণে বিপুলসংখ্যক প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার অনুমোদন দিয়েছে। সাংবাদিকরা যেন আর্থিক নিরাপত্তায় থাকেন একারণে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছে। বগুড়ায় সাংবাদিক ও পুলিশ একে অপরের পরিপুরক হয়ে নিরাপদ বগুড়া গড়তে কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিইউজে সভাপতি আমজাদ হোসেন মিন্টুর সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএফইউজে’র সহ-সভাপতি ও বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন ও বিএফইউজে’র নির্বাহী সদস্য প্রদীপ ভট্টাচার্য্য শংকর। বিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক জে এম রউফের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রবীন সাংবাদিক সমুদ্র হক, আব্দুর রহিম বগ্রা, বগুড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফ রেহমান, বিইউজে’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ঠাণ্ডা আজাদ, দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ’র বগুড়া ব্যুরো প্রধান মোহন আখন্দ প্রমুখ।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, দীপঙ্কর চক্রবর্তী একজন নির্বিবাদী মানুষ ছিলেন; দৃশ্যতঃ তাঁর কোন শত্রুও ছিলো না। অথচ কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে বাড়ির সন্নিকটে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বত্তরা। ২০০৪ সালে এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ঘটনাকে নানাভাবে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করা হয়। মামলার আলামত পর্যন্ত বিনষ্ট করে ফেলা হয়। পরবর্তীতে এই হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি সম্পৃক্ততার বিষয়ে একজনের স্বীকারোক্তি দেখিয়ে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করে। বগুড়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা বা নিহতের পরিবার এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এবং অভিযোগপত্রে সন্তুষ্ট না বলেও উল্লেখ করেন তাঁরা।
স্মরণসভা শেষে সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনজনকে স্মৃতিপদক প্রদান করা হয়। এবার দীপঙ্কর চক্রবর্তী স্মৃতিপদক পেয়েছেন বগুড়ার প্রবীন সাংবাদিক মুরশীদ আলম, দৈনিক করতোয়ার মফস্বল সম্পাদক জয়নাল আবেদিন ও দৈনিক জনকণ্ঠের ফটো সাংবাদিক শফিউল আযম কমল।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন