গাবতলীতে জামিরবাড়িয়া হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ

বগুড়া গাবতলীর জামিরবাড়িয়া খোদেজা হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ হওয়া সরকারি অনুদানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ওই হাইস্কুল কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় শিক্ষানুরাগীরা।
জানা গেছে, বগুড়া গাবতলীর জামিরবাড়িয়া খোদেজা হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়ে গরীব, মেধাবী ও অসহায় ১৫জন শিক্ষার্থীদের জন্য মোট ৭৫হাজার টাকা সরকারিভাবে বরাদ্দ হয়। এছাড়াও প্রতিবন্ধীদের অনুকূলে ৫০হাজার টাকা, শিক্ষকদের জন্য ১লক্ষ টাকাসহ মোট ৫লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু ওই হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রিপু মিয়া প্রধান শিক্ষক লক্ষী নারায়ণ দাসের যোগসাজসে নামেমাত্র উন্নয়ন দেখিয়ে বরাদ্দকৃত ওই ৫লাখ টাকার অধিকাংশ অর্থই আত্মসাত করেন। গত ২৯জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের জনপ্রতি ৫হাজার টাকা করে না দিয়ে ২হাজার টাকা করে দেন। এতে করে ওই হাইস্কুল কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থী ও শিক্ষানুরাগীরা।
জামিরবাড়িয়া হাইস্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ কমিটির সভাপতি রিপু মিয়ার উপর ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, ‘কমিটির সভাপতি প্রধান শিক্ষকের যোগসাজসে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করছেন। ওই দু’জনের অত্যাচারে আমরা সাধারণ শিক্ষকরা অতিষ্ট। সভাপতির অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে কোন প্রতিবাদ করলেই শিক্ষকদের ভয়ভীতি দেখান এবং অকারণে শিক্ষকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নেন। তাই নিরুপায় হয়ে গতকাল রোববার দুপুরে আমরা ১২জন শিক্ষক-শিক্ষিকা স্বশরীরে হাজির হয়ে গাবতলীর ইউএনও ও মাধ্যমিক অফিসারের বরাবরে কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
এ ব্যাপারে জামিরবাড়িয়া খোদেজা হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লক্ষী নারায়ণ দাস স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, তিনি যা কিছু করেছেন কমিটির সভাপতি রিপু মিয়ার চাপের মুখে করেছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অর্থ কম দেয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে গত ৭অক্টোবর রাতে শিক্ষার্থীদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে তিনি প্রত্যেককে ৩হাজার টাকা করে দিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে কমিটির সভাপতি রিপু মিয়া সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রধান শিক্ষক কিংবা তিনি কোন অনিয়ম করেননি। দুই ধাপে টাকা পাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরকেও দুই ধাপে টাকা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার তারিকুল আলম বলেন, জামিরবাড়িয়া হাইস্কুলের অনিয়ম বিষয়ে তিনি শুনেছেন। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন