গাবতলীতে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করায় ৭টি পরিবার অবরুদ্ধ

বগুড়ার গাবতলীতে একমাত্র চলাচলের রাস্তা বন্ধ করায় ৭টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নাড়–য়ামালা ইউনিয়নের চাকলা মধ্যপাড়া গ্রামে।
জানা গেছে, উল্লেখিত চাকলা মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত ছঈম উদ্দিন মন্ডলের ছেলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ফটু মন্ডল (৬২) বিগত ১৪বছর আগে ওই গ্রামে পাকা বাড়ীঘর নির্মাণ করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস শুরু করেন। সে সময় থেকেই তারা বসতবাড়ীর সামনে থাকা চাকলা ঈদগাহ মাঠের ভিতর দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু গত ২বছর আগে ঈদগাহ মাঠের কর্তৃপক্ষ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করায় তাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে ফটু মন্ডলসহ চাকলা মধ্যপাড়া গ্রামের ৭টি পরিবারের লোকজন অনেকটাই অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। বিকল্প রাস্তা হিসেবে বর্তমানে তারা ধানী জমির আইল অথবা ঈদগাহ মাঠের সীমানা প্রাচীর টপকিয়ে অতিকষ্টে চলাচল করলেও চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই গ্রামের বেশকিছু শিক্ষার্থী ও নূয়েপড়া বয়স্ক মানুষগুলো। এরপরেও মরার উপর খড়ার ঘা হয়ে দাড়িয়েছেন স্থানীয় চাকলা গ্রামের হবিবর রহমান, জাহাঙ্গীর মন্ডল, আ: মজিদ ও বাদশা মিয়া। ওই প্রভাবশালীদের স্পষ্ট কথা, ওই ৭টি পরিবার কিভাবে চলাচল করবে এটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু ধানী জমির আইল দিয়ে কিংবা ঈদগাহ মাঠের সীমানা প্রাচীর টপকিয়ে তারা যাতায়াত করতে পারবেন না। বিষয়টি সমাধানের জন্য ওই ৭টি পরিবারের পক্ষ হয়ে ফটু মন্ডল বাদী হয়ে ইতিপূর্বে স্থানীয় নাড়–য়ামালা ইউনিয়ন পরিষদ, গাবতলীর ইউএনও ও এ্যাসিল্যান্ডের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েও অদ্যাবধি কোন সুরাহা মিলেনি। তাই বাধ্য হয়ে ফটু মন্ডল বাদী হয়ে গত ৮অক্টোবরে মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে গাবতলী মডেল থানার ওসি সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়ে থানার এএসআই মিথুনকে তদন্তের দায়িত্বভার দেয়া হয়েছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন