শাজাহানপুরে নার্সারীর চারা গাছ হিংসা করে কেটে ফেললো প্রতিপক্ষ শত্রু

নিভূত পল্লী গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান নিজস্ব ৬বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন নার্সারী। ¯বপ্নে রোপণ করছিলেন নানা প্রজাতির গাছের চারার নার্সারী। ধীরে ধীরে এ গাছগুলো বড় হয়েছিল এবং বিক্রি করে আসছিল। এরি মধ্যে কিছু শত্র্্র রাতের আধারে দেড় বছর ধরে চারা গাছ কাটে গরু-ছাগলকে খাওয়ায়। এটা হাবিবুরের ছেলে মিলন জানতে পেয়ে তাকে নিষেধ করলে তা কর্ণপাত করে না,বরং মিলন প্রাং কে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে প্রাণ নাশের হুমকী দেয়।
মিলন প্রাং বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গত মঙ্গলবার সকালে বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের নগর হাটের উত্তরে জাদবপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়,মায়াবন নামের নার্সারীর চারাগাছ কর্তনের দৃশ্য। এসময় কাটা গাছের দৃশ্য আমাদের দেখায় এবং বড় দুঃখ প্রকাশ করেন নার্সারীর মালিক হাবিবুর ও তার ছেলে মিলন প্রাং।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ওই গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমান জাদবপুর মৌজায় বানিজ্যিকভাবে নার্সারী স্থাপন করে সংসার পরিচালনা করে আসছিলেন। হাবিবুর রহমানের বয়স বাড়ায় নার্সারীর হাল ধরেন তার ছেলে মিলন প্রাং।
এবিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হাবিবুর রহমানের ছেলে মিলন প্রাং জানান আমি প্রায় ৩০ বছর যাব্য নার্সারী ব্যবসা করে আসিতেছি। এই নার্সারী ব্যবসা করে আমাদের সংসারের যাবতীয় খরচ চলে। আমি ভালভাবে ব্যবসা করে আসিতেছি। প্রায় দেড় বছর যাবৎ রাতের আধারে আমার নার্সারীতে ঢুকে বিভিন্ন রকমের চারাগাছ মাঝখানে কেটে নিয়ে যায়। অনেকদিন থেকে এই শত্রকে হাতে নাতে ধরতে পারি না। তাকে ধরার জন্য অনেক কৌশল অবলম্বন করে অবশেষে গত মঙ্গলবার সনাক্ত করতে পেরেছি। সে আমার গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আজিজার রহমানের ছেলে আজাদুর রহমান । সে বর্তমানে পলাতক । আমি তার বাবা সাবেক ইউপি সদস্য আজিজার কে গাছের কাটা অংশ দেখিয়াছি সে গাছের কাটা অংশ দেখে স্বীকার করেছে যে তার ছেলেই ঘটনা ঘটিয়াছে। আমার নার্সারীর চারাগাছ কেটে অনেক টাকার ক্ষতিসাধন করেছে।
এবিষয়ে শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান নার্সারীর চারাগাছ কর্তনের অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন