নন্দীগ্রামে মাঠে মাঠে মন মাতানো হলুদের সমারোহ
![নন্দীগ্রামে মাঠে মাঠে মন মাতানো হলুদের সমারোহ](./assets/news_images/2023/12/01/news-pic--nandigram-01-12-2.jpg)
প্রকৃতি সেজেছে এক অপরূপ মহিমায়। সরিষার হলুদ ফুলের এই সমারোহ নয়ন জুড়িয়ে দেয়। যেদিকে দু’চোখ যায়, শুধু হলুদ আর হলুদ। সরিষা ক্ষেতের এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য মনকে আবেগে আপ্লুত করে তোলে। চারদিকের সরিষার ফুল থেকে মধু আহরণে ব্যস্ত মৌমাছি। বাজারে তেলের দাম বেশি হওয়ায় এবার সরিষার চাষ বেশি হয়েছে। স্বল্প খরচ আর কম সময়ে সরিষা চাষ দিনদিন বৃদ্ধি পেয়েছে নন্দীগ্রাম উপজেলায়। উন্নত জাতের সরিষা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বেড়েছে সরিষা চাষ। প্রচলিত দেশি সরিষার চেয়ে ফলন বেশি হওয়ায় বারি-১৪-১৫-১৭ বারি-৯ বিনা-১১ টরি-৭ জাতের সরিষা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। অনেকেই আমন ধান সংগ্রহের পর জমি ফেলে না রেখে সরিষা চাষ শুরু করেছেন। এরপর আবার বোরো ধান রোপণ করবেন তারা। ফলে একই জমিতে বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন হচ্ছে। সরেজমিনে বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায় সরিষা গাছে ফুল এসেছে। সরিষা চাষিরা জানান, এবার প্রতি বিঘা জমি থেকে ৬-৭ মণ সরিষা উৎপাদনের আশা করছেন তারা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেব মতে চলতি বছরে সরিষার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে। তবে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবার আশংক্ষা রয়েছে। গত বছর লক্ষ মাত্রা ছিল ৬ হাজার হেক্টর। এবার সরিষাতে বাম্পার ফলনের আশা কৃষক ও কৃষি বিভাগের। সদর ইউনিয়নের চাষি সুশান্ত কুমার জানান, প্রতি বছরই ৬০-৭০ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করি এবছরও ৮০ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। প্রতিবিঘা জমি থেকে ১০ হাজার টাকা করে থাকে। ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের মামুন, হাবিবুর রহমান, জয়নালসহ অনেকে জানান, প্রতিবিঘা জমিতে সরিষা চাষে খরচ হয় সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা। প্রতি মণ সরিষা বিক্রি করা যায় ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা দরে। প্রতি বিঘাতে গড়ে সাত মণ সরিষা উৎপাদন হলে বিঘা প্রতি ১০-১২ হাজার টাকা লাভ করা যায়। কম সময়ে কম খরচে বেশি লাভ হয় সরিষা চাষে। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় বারি-১৪-১৫-১৭ বারি-৯ বিনা-১১ টরি-৭ জাতের সরিষা চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজিউল হক বলেন, কম সময়ে লাভজনক ফসল এটি। সরকারের কৃষিতে সুদৃষ্টি রয়েছে উপজেলায় সরকারি ভাবে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। তেলের দাম বাড়ার কারণে তেল ফসলের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষি অফিস সার্বক্ষণিক কৃষকদের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন